তথাগত বায়না না মেটালে নাকি শ্যুটেই ফেরেন না রাইমা!
রাইমা সেন আর চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষের বন্ধুত্ব কারওর অজানা নয়। রাইমা-তথাগত ক্যামেরার মুখোমুখি হলেই সে ছবি যেন কথা বলে। কিন্তু রাইমা সুযোগ পেলেই তথাগতকে নাকে দড়ি দিয়েও ঘোরান, সে কথা জানেন? টলিউডের অন্দরের খবর, ছবি তুলতে তুলতেই নাকি চিত্রগ্রাহকের কাছে একেক সময় একেক রকমের অদ্ভুত বায়না করেন রাইমা। সে সব না মেটালে তিনি নাকি শ্যুটেই ফেরেন না!
যেমন, এক বার ঘোড়া রোগে ধরেছিল সুচিত্রা সেনের বড় নাতনিকে। শ্যুটের ফাঁকে আলোচনায় তথাগত জানিয়েছিলেন, একটি ঘোড়া থাকলে বেশ হত। তা হলে শ্যুটিং আরও জীবন্ত হত। সে কথা রাইমার কানে যেতেই অভিনেত্রীর বায়না, ‘‘এখনই আমায় ঘোড়া এনে দিতে হবে। কালো ঘোড়া। ওকে নিয়ে শ্যুট করব।’’ তার পরেই হাত-পা গুটিয়ে চেয়ারে বসে পড়েছেন তিনি! নিজের জেদেই অনড়। শেষে কালো ঘোড়া এনে দেওয়ার পর তাকে নিয়ে শ্যুট শেষ করেন সেনসুন্দরী....। তথাগতের সেই সিরিজও যথেষ্ট চর্চিত।
শুধু এই? এক বার শ্যুট করতে করতে রাইমার হঠাৎ আবদার, চায়ের দোকানে সবাই যেমন মাটির ভাঁড়ে চা খায় তিনিও তেমন করে চা খাবেন। তথাগত কিছুতেই বোঝাতে পারছেন না, রাইমাকে নিয়ে রাস্তায় বেরোলে সবাই তাঁকে ঘিরে ধরবে। কষ্টও হবে তাঁর। তথাগত পাল্টা গ্রিন টি, লেবু চা, লিকার চা সমেত নানা ধরনের চায়ের ফিরিস্তিও দেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! রাইমার একটাই বায়না, তিনি আগে মাটির ভাঁড়ে চা খাবেন। তার পর শ্যুট করবেন। এবং যত ক্ষণ না চা খাচ্ছেন তত ক্ষণ শ্যুট করবেন না।
শেষে নায়িকার বায়না মেটাতে তথাগত নাকি তেঘড়িয়ার একটি চায়ের স্টলে আসেন। সেখানকার চায়ের দোকান তাঁর পরিচিত। তুলনায় ফাঁকা সেই দোকানে গিয়ে রাইমা মনের সুখে ভাঁড়ে ঠোঁট ডুবিয়ে চুমুক দিয়ে গরম গরম চা খেয়ে তাজা হন। বায়না মিটতেই তিনি বাধ্য মেয়ের মতো ফের শ্যুটে হাজির!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy