বৃহস্পতিবার লাইভে এসে অনুরাগীদের মান ভাঙাতে হল রাজা-মাম্পিকে। সবার মুখে হাসি ফোটাতে হাতে হাত রেখে গানও গাইতে হল ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের সবচেয়ে চর্চিত জুটি রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় আর রুকমা রায়কে। ধৈর্য ধরে বোঝাতে হল সবাইকে, ধারাবাহিকে কোনও ভাবেই তাঁদের ছোট করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে তাঁরা দর্শকদের জানিয়ে দিলেন, রাজা-মাম্পিকে ভালবাসতে গিয়ে কেউ যদি ‘কিয়ান-নোয়া’ ওরফে দিব্যজ্যোতি দত্ত এবং শ্রুতি দাসকে কটূক্তি করেন সেটা তাঁরা মেনে নেবেন না।
লাইভেও তাঁদের রসায়ন অটুট। ‘মাম্পি’ বসেছে চেয়ারে। চেয়ারের হাতলের গা ঘেষে বসে ‘রাজা’। রাহুলের গায়ে পাঞ্জাবি। ‘নতুন বৌ’ রুকমা টি শার্ট আর জিনস পরেছেন।। কয়েক সপ্তাহ ধরেই দর্শকমনে ফের অসন্তোষ দানা বেঁধেছে ধারাবাহিক নিয়ে। কারও মতে, ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অকারণে খলনায়িকা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘মাম্পি’ ওরফে রুকমাকে। যার জেরেই নাকি রাজা-মাম্পির মধ্যে দাম্পত্য কলহ। এটা ‘রাম্পি’ বা ‘রাজমা’-প্রেমীদের কাছে একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
সেই মলিনতা মোছাতে গিয়ে রাহুল-রুকমা একসঙ্গে জানিয়েছেন, অনুরাগীদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ধারাবাহিকে কেউ তাঁদের শত্রু নন। একই সঙ্গে তাঁরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, কাহিনিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে ‘রাম্পি’-র জন্মই হত না। তাঁদের দাবি, ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে তাঁদের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ ডোডো-উজ্জয়িনী, কিয়ান-নোয়া, বড় জেঠু-বড়মা জুটি। তাই রাজা-মাম্পিকে খুশি দেখতে চাইলে দর্শকদের তাঁদেরও ভালবাসতে হবে।
রাজা-মাম্পিকে একসঙ্গে পেয়ে লাইভে সবার একটিই অনুরোধ, গান গাইতে হবে তাঁদের। লাইভের একেবারে শেষে এসে রাহুল-রুকমা সেই আবদার মেটাতে গিয়েই হাতে হাত রেখে গেয়ে ওঠেন ‘আও না’ (কিঁউ হো গয়া না)। লাইভ জুড়ে তখন শুধুই অনুরাগীদের ভালবাসা, শুভেচ্ছা আর মন্তব্যের বানভাসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy