(বাঁ দিকে) রাঘব-পরিণীতি। হরভজন সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২৪ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে গাঁটছড়া বাঁধেন রাঘব চড্ডা ও পরিণীতি চোপড়া। গত সপ্তাহের শনিবার থেকেই উদয়পুরের বিলাসবহুল হোটেলে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিয়ের নানা অনুষ্ঠান। গায়েহলুদ, মেহেন্দি থেকে নব্বইয়ের দশকের আদলে সঙ্গীতের অনুষ্ঠান— তালিকা থেকে বাদ ছিল না কোনও কিছুই। কিন্তু তাঁর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে হয় প্রাক্ বিবাহ অনুষ্ঠান। যেখানে চড্ডা ও চোপড়া দুই পরিবারের মধ্যে হয় হাড্ডাহাড্ডি ক্রিকেট ম্যাচ। বর-কনে থেকে তাঁদের পরিবারের সকলেই অংশ নিয়েছিলেন সেই খেলায়। ছিলেন রাঘবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হরভজন সিংহ। কোন টিমের হয়ে খেলবেন এই ক্রিকেট তারকা সেই নিয়ে প্রায় বচসা বাঁধে রাঘব-পরিণীতির।
বিয়ের পর একে একে ঝাঁপি খুলছেন অভিনেত্রী। তাঁদের বিয়ের আগের ক্রিকেট ম্যাচের ভিডিয়ো সদ্য ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। ম্যচে অংশ নিয়েছিলেন হরভজন সিংহও। কোন টিমের হয়ে খেলবেন হরভজন সিংহ, তা নিয়ে একপ্রস্থ মতবিরোধ হয় পরিণীতি-রাঘবের। তাঁর গায়ে চড্ডাদের লোগো থাকলেও ভিডিয়োতে দেখা যায় পরিণীতি এবং তাঁর ভাই হরভজনকে নির্দেশ দিচ্ছেন, কী ভাবে হল করতে হবে। খেলতে খেলতে এক সময় হরভজন জিজ্ঞেস করেন, কোন দলের হয়ে খেলতে হবে তাঁকে! খেলার শেষে জয়ী হন চোপড়ারাই। পুরোটাই আনন্দ-হুল্লোড় করার জন্য হলেও পরিণীতি যে বেশ প্রতিযোগী মানসিকতার, তা বোঝা গেল ভি়ডিয়ো দেখেই। কম যান না রাঘবও।
পরিণীতি বোধহয় দিদি প্রিয়ঙ্কাকে দেখেই এমন অভিনব বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা ভেবেছেন। কারণ, প্রিয়ঙ্কার বিয়ের আগেও দুই পরিবারের মধ্যে খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। শুধু ক্রিকেট ম্যাচ নয়, ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার, চামচ আর গুলির দৌড়। অভিনেত্রী নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘এ বার সময় এসেছে সবটা বলে ফেলার। আমাদের বিয়ের নিয়ম। এই ভাবেই শুরু হয়েছিল আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান।’’ তবে শুধু এটাই নয়, বিয়েতে স্বামীকে উপহার দেওয়ার জন্য নিজেই একটি গান গেয়ে রেকর্ড করেন পরিণীতি। তাঁদের বিয়েতে আবহে বেজেছে সেই গানই। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, রাঘবকে বিয়েতে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই ভাবনা থেকেই ‘ও পিয়া’ গানের অবতারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy