পার্ল পদমসি।
ভারতের বাণিজ্য নগরী বম্বে শহর তখনও ‘মুম্বই’ হয়নি। ১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল। মরাঠা রাজ্যে ইংরেজি ভাষায় থিয়েটার করে স্টেজ দাপাচ্ছেন পাঁচ ফুটের গোলগাল এক অভিনেত্রী— পার্ল পদমসি। পরিচালনা-প্রযোজনাও থাকত তাঁরই হাতে। বেশ কিছু হিন্দি ও ইংরেজি ছবিতেও তাঁকে দেখা গেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘খাট্টা মিঠা’, ‘জুনুন’, ‘বাতো বাতো মে’, ‘কামসূত্র— আ টেল অফ লাভ’ ও ‘সাচ আ লং জার্নি’। ২৪ এপ্রিল ছিল তাঁর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মেয়ে রায়েল পদমসি পার্লকে শ্রদ্ধা জানাতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। মায়ের হাত ধরেই রায়েলের মঞ্চ জগতে পদার্পণ। শ্রদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্লের এককালীন সহকর্মী ও সমসাময়িক নাট্যব্যক্তিত্বদের নক্ষত্ররা। দর্শকাসনে ছিলেন স্ত্রী নীরার সঙ্গে শ্যাম বেনেগাল, চার্লস ও মনিকা কোরিয়া, বিজয় মেহতা, ডলি ঠাকুর এবং রেমু ও নাজ জাভেরি।
‘দ্য জায়েন্ট পিক্সি’ নামে এই শ্রদ্ধানুষ্ঠানে পার্ল পরিচালিত নাটকের অংশ মঞ্চে পরিবেশন করেন বর্ষীয়ান সব শিল্পীরা। চল্লিশ বছর আগে ‘সারপেন্ট’ নাটকে যে কস্টিউম পরে মঞ্চ মাতিয়েছিলেন সাবিরা মার্চেন্ট, সেই পোশাকেই আবারও তিনি সংলাপ বললেন এই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন কার্লা সিংহ, ফারুখ মেহতা ও বিজয় কৃষ্ণ। স্কুলে পড়ার সময় ফরিদ করিম ও সাইরাস ব্রোচা ছিলেন পার্লের ছাত্র। আরও এক ছাত্র কুণাল বিজয়কর তো ‘শিক্ষিকা’-র আদলে পোশাক পরে ছোট্ট এক ফালি অভিনয় করে দেখালেন মঞ্চে। উপস্থিত ছিলেন রায়েলের পিতা অ্যালেক পদমসিও। অ্যালেকের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরেও থিয়েটার জগতে পার্ল তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই রেখেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy