রাজনীতি থেকে সাত হাত দূরে কেন প্রসেনজিৎ?
এ পর্যন্ত ৩৪৮ না ৩৪৯টি ছবি করেছেন, নিজেই ঠিক মনে করতে পারছেন না। তবে এতগুলো বছর মানুষের জন্য কাজ করেছেন টলিপাড়ার 'বুম্বাদা' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
বিভিন্ন পরিসরের দর্শককে আনন্দ দিয়েছেন। মনে করেন, সেটাই তাঁর কাজ। সমাজসেবী হিসেবেও নিজেকে উজাড় করে দিতে চেয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু রাজনীতি? সেখানে তাঁকে দেখা যায়নি। শোনা যায়, রাজ্যসভার ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কেন?
আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবারের লাইভ শো 'অ-জানা কথা'য় প্রশ্নটি রাখা হয়েছিল টলিউডের 'ইন্ডাস্ট্রি'-র কাছেই। তাতে রীতিমতো অপ্রস্তুত নায়ক। বললেন, এক-একজন মানুষ এক এক ধরনের কাজে দক্ষ হন। রাজনীতি তাঁর ক্ষেত্র একেবারেই নয়। উদাহরণ স্বরূপ তুলে আনলেন সাংবাদিকতার প্রসঙ্গ। নিজেই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন, তিনি কি পারবেন সঞ্চালক, সাংবাদিক অনিন্দ্য জানার চেয়ারটায় বসতে? তার জন্য তো প্রশিক্ষণ নিতে হবে অন্তত তিন বছর! হাসতে হাসতে প্রসেনজিৎ বলেন, "যে কাজ আমি পারি না, তা করতে চাই না। রাজনীতিতে আসার জন্য আমি প্রস্তুত নই।"
প্রশ্ন করা হয়, এখন প্রস্তুত নন, আগামীতে মত বদলাবে কি? প্রসেনজিৎ নিশ্চিত করে বলেন, না। তিনি আসবেন না। সংসদীয় কিংবা পরিষদীয় ভোটের রাজনীতি, কোথাও তাঁকে দেখা যাবে না।
ইদানীং যেখানে টলিউড তারকারা আরও বেশি সংখ্যক ভক্ত-অনুরাগীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছেন রাজনীতিতে এসে, সেখানে 'ইন্ডাস্ট্রি' বা তাঁর নিজের কথায় 'ইন্ডাস্ট্রির সিইও' রাজনীতি থেকে সাত হাত দূরে থাকতেই স্বচ্ছন্দ। বিনোদন জগতই তাঁর জায়গা বলে মনে করছেন।
রসিকতার ছলে অভিনেতা এড়িয়ে গেলেন পরের প্রশ্নটাও, "রাজনীতিও তো বিনোদনেরই জায়গা এখন, নয় কি?" প্রসেনজিতের সহাস্য জবাব, "এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy