কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের রিসর্টে জঙ্গিহানায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারই সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন তিনি। সেখানে থেকেই ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তাঁকে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ঘটনার নিন্দা করেছেন মোদী। ঘটনার নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রধানমন্ত্রী এক্সে লিখেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এই জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করছি। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। প্রার্থনা করি, আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। সব রকমের সাহায্য করা হবে।’’ তার পরেই প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জঙ্গিদের। তাঁর কথায়, ‘‘এই জঘন্য অপরাধের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াৎ করা হবে না! তাঁদের অশুভ লক্ষ্য চরিতার্থ হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের পণ দৃঢ়। এটা আরও কঠিন হবে।’’
ঘটনার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি এক্স হ্যান্ডলে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই হিংসার ঘটনা নিন্দনীয় এবং অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।’’ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এই সরকারের ‘প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যর্থতা’-ই তুলে ধরেছে।
ঘটনার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। তিনি ইতিমধ্যে কাশ্মীরে পৌঁছে গিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার মতে, হামলাকারীরা ‘পশু, অমানবিক’। মঙ্গলবারের হামলায় ঠিক কত জন মারা গিয়েছেন, তা নিয়ে এখন সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়টি উঠে এসেছে ওমরের পোস্টেও। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘মৃতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তাই ওই নিয়ে কিছু বলছি না। পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হলে তা প্রকাশ করবে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ মানুষের উপর এত বড় হামলা হয়নি।’’
পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে ফাঁপা দাবি না করে সরকারের দায় নেওয়া উচিত। পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা না হয়, যাতে নিরপরাধ ভারতবাসী প্রাণ না হারান।’’ অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীরের এই খবর ‘উদ্বেগজনক’। ভারতে সফররত আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও এই হামলার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘ওই জঘন্য গোষ্ঠীকে দেশ থেকে সরান’, পাক প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ আমেরিকার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা
-
কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ঘরে ফেরেন জ্যৈষ্ঠের অষ্টমীতে, ক্ষীর ভবানীর পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা
-
‘সিঁদুর’ অভিযানের পর কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ অবশেষে প্রত্যাহার! নতুন বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
-
কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার, এর পর আর কেউ মধ্যস্থতার সময় পাবে না, দাবি পাক সেনাকর্তার
-
বিষয় ‘অপারেশন সিঁদুর’! প্রবন্ধ লিখে মিলবে আর্থিক পুরস্কার, সঙ্গে লালকেল্লায় যাওয়ার সুযোগও