অ্যাপ নির্ভর পরিষেবায় এখন আস্থা আছে, বললেন প্রসেনজিৎ।
অনলাইন খাবার সরবরাহের অ্যাপের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন প্রসেনজিৎ। প্রতিকার চেয়ে টুইটারে সরাসরি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সত্যিই কি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষোভের নিশানায় অনলাইনে খাবার সরবরাহের ওই সর্বভারতীয় সংস্থা?
আনন্দবাজার অনলাইন সরাসরি যোগাযোগ করেছিল অভিনেতার সঙ্গে। প্রসেনজিৎ সোজাসাপ্টা বলছেন, ওই অ্যাপের উপরে তাঁর কোনও রাগ নেই। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে এ ভাবে চিঠি লেখার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র এই ধরনের অ্যাপ-নির্ভর জরুরি পরিষেবায় যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করা। তাঁর কথায়, “এই ধরনের অ্যাপ-নির্ভর পরিষেবা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করছেন। প্রচুর মানুষ এই সব অ্যাপ ব্যবহার করেন। আমিও করি। শুধু বলতে চেয়েছি, খাবার বা ওষুধের মতো জরুরি প্রয়োজনের অ্যাপ সংস্থাগুলো যদি একটু সতর্ক বা আর একটু দায়িত্বশীল থাকেন, তা হলে পরিষেবার সমস্যা বা ভুলভ্রান্তি এড়ানো যাবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খাবার বা ওষুধের মতো জিনিস মানুষ অর্ডার করেন অন্য ভাবে ব্যবস্থা করার সুযোগ না থাকলে। তাই সেখানে কোনও ভুল হলে তাঁরা বিপদে পড়বেন। তাই মনে হয় ঠিক মতো নজরদারিতে এই অ্যাপ-নির্ভর পরিষেবাগুলো চলা দরকার।”
আনন্দবাজার অনলাইনে প্রসেনজিতের এই চিঠি লেখার খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই চারিদিকে শোরগোল শুরু হয়। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেতার জবাব, “টুইটারে ওই চিঠি পোস্ট করার পরে অনেকেই হয়তো হাসাহাসি করছেন। কিন্তু বলে রাখি, ওই অ্যাপ সংস্থার সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা বা তাদের উপরে কোনও রাগ নেই। সুইগিতে অর্ডার করে খাবার না পাওয়ার এই সমস্যার পরেও ওই অ্যাপ ব্যবহার করেছি। আবারও করব। এই ধরনের অ্যাপ আমার পরিবারের অন্যরাও নিয়মিত ব্যবহার করেন।”
পাল্টে যাওয়া জীবনযাপনের অভ্যাসে খাবার, ওষুধ, জামাকাপড়, নিত্যপ্রয়োজনীয় হরেক পণ্য বা বৈদ্যুতিন সামগ্রী কিনতে ইদানীং সিংহভাগ মানুষই নির্ভর করেন এই ধরনের অনলাইন সরবরাহ অ্যাপের উপরে। কোভিডের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলা-সহ গোটা দেশেই ত্রাতা হয়ে উঠেছিল এই অ্যাপ-নির্ভর পরিষেবাগুলি। প্রথম লকডাউনে পরিষেবা বিপুল ভাবে ধাক্কা খেলেও সুইগি-জোম্যাটোর মতো খাবার সরবরাহকারী অ্যাপগুলির নির্ভরতা ফিরেছে অনেকখানি। করোনা পরিস্থিতিতে রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়াদাওয়ার চেয়ে অনেকেই অ্যাপের মাধ্যমে খাবার বাড়িতে আনিয়ে নেওয়াকে নিরাপদ বলে মনে করছেন।
শুধু আপৎকালীন পরিস্থিতি নয়, সাধারণ ভাবেই এই অ্যাপগুলির উপর আস্থা বাড়ছে মানুষের। বাড়িতে আচমকা অতিথি এসে পড়া থেকে স্রেফ ভালমন্দ খাওয়ার ইচ্ছে, সবেতেই ভরসা হয়ে উঠছে অনলাইন খাবার সরবরাহের অ্যাপ। এতটাই যে, স্টক মার্কেটেও নিয়মিত উপর দিকে থাকছে এই সংস্থাগুলির শেয়ারের দর। ভারতীয় অর্থনীতিতেও তার প্রভাব চোখে পড়ার মতো। একটি সমীক্ষায় প্রকাশ, ২০২৬-এর মধ্যে ভারতে অনলাইন খাবার সরবরাহের ব্যবসা পৌঁছতে পারে ২১০০ কোটি ডলারের অঙ্কে। যা ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে ছিল ৪০০ কোটি ডলারে। ছ’বছরে প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এই ব্যবসা। এমনই আশায় অর্থনীতিবিদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy