রঞ্জিত মল্লিককের হাতে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টর স্মারক তুলে দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ।
সাদা ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে তিনি মঞ্চে। বাংলার অভিনেতা তিনি।
নাহ, কাঁটাতার তাঁকে আলাদা করতে পারেনি। রাজনৈতিক বিভাজনরেখার বাইরে গিয়ে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডের রাতের ধ্রুবতারা তিনি। বাংলাদেশের দর্শক তাঁদের প্রিয় নায়ককে পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
বারে বারেই মঞ্চে আহ্বান জানানো হচ্ছে তাঁকে। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সম্মাননা। রঞ্জিত মল্লিককে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান প্রদান করা হল তাঁর হাত দিয়েই। মঞ্চে রঞ্জিত মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়ে যেমন বললেন, ‘‘উত্তম-সুচিত্রা জুটির চেয়েও বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি ছবি হয়েছে রঞ্জিত মল্লিক আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে।’’ সিনেমার ইতিহাস উঠে এল শেখ মুজিবের রক্তমাখা বাংলার মাটিতে।
আরও পড়ুন: বাঙালদের মতো রান্না কেউ পারে না, ঢাকায় বললেন ঋতাভরী
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তারকারা
মঞ্চে দুই বাংলার অভিনেতাদের ঢল। টলি ইন্ডাস্ট্রির সব তারাই সে দিন বাংলাদেশের তারাদের পাশে! জিৎ-প্রসেনজিৎ পাশাপাশি। সঞ্চালক প্রসেনজিৎকে প্রশ্ন করেন, ‘‘নায়িকাদের অজস্র বার চুমু খেয়েছেন আপনি। ভাগ্যবান আপনি। তা কত চুমু হল?’’ এই মজার প্রশ্নের জবাব এল ঝটপট! ‘‘আপাতত সাড়ে তিনশোর ওপর ছবি হয়ে গিয়েছে আমার। এ বার হিসেবটা করে নিন!’’ প্রসেনজিতের জবাবে উত্তাল দর্শক।
তখন পাশে দাঁড়িয়ে জিৎ। প্রশ্ন তাঁর দিকে পৌঁছতেই তিনি বললেন, ‘‘বিয়ের পর চুমুর ওপর সেন্সরশিপ বসেছে।’’
এ ভাবেই চলচ্চিত্রের নানা দিক ধরে এগিয়ে গেল অনুষ্ঠান। প্রসেনজিৎ তুলে ধরলেন দুই বাংলার সহজ সংযোগের বিষয়কে। ‘‘আমরা আজও বাহুবলী নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করি। দুই বাংলা এক হলে আমরাও তো বাহুবলী তৈরি করতে পারি! আমরা ভাবছি না কেন? এই ভাবনার জন্যই ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস!’’ জোর গলায় নিজের বিশ্বাস তুলে ধরলেন ‘মনের মানুষ’-এর নায়ক।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম পায়েই পুনর্জন্ম, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাও বন্ধ করতে পারল না সরস্বতীর বরপুত্রী সুধার বিশ্বজয়
‘‘দুই বাংলার অভিনেতাদের এত ট্যালেন্ট, অথচ সেটা মেলানো যাচ্ছে না কেবল রাজনৈতিক বিভাজনের জন্য। এই কারণেই বাংলা ছবির বাজার এত ছোট হয়ে আসছে।’’ যোগ করেন প্রসেনজিৎ। তিনি এখন শুধু নিজের অভিনয় আর ছবি নিয়ে ভাবেন না। যে ইন্ডাস্ট্রি তাঁর জীবন, তার প্রসারের দায়িত্ব তাঁর চিন্তায়। তাই যখন সেরা অভিনেতা হিসেবে ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় তখন তিনি মঞ্চে এসে তাঁর সেরা নায়কের পুরস্কার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নগরকীর্তন’-এর জন্য মনোনীত নায়ক ঋদ্ধি সেনকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন!
রাত বাংলাদেশকে ছুঁয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডসের সেরা মুহূর্ত তৈরি করে দিলেন প্রসেনজিৎ। জানিয়ে দেন, অগ্রজকে মঞ্চে থেকে নবীনকে হাত ধরে এগিয়ে দিতে হয়। তাতে কিছু হারায় না। তরুণের তাজা রক্ত নত হয় অগ্রজের সামনে।
আজ সেই নত হওয়ার দিন। ঋদ্ধি সেন আসবেন প্রসেনজিতের কাছে। ঢাকার সেরা নায়কের পুরস্কার চিরকালের সেরা নায়কের হাত দিয়ে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে তাঁর কাছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy