শঙ্কুর চরিত্রে ধৃতিমান
বড় পর্দায় প্রথম বার প্রোফেসর শঙ্কু। সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্ ডোরাডো’ ছবিতে শঙ্কুর ভূমিকায় ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং নকুড়বাবুর চরিত্রে থাকছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। এত দিন সময় লাগল কেন শঙ্কুকে বড় পর্দায় আনতে? সন্দীপ রায় বললেন, ‘‘প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে বহু দিনের। কিন্তু এই ছবি করার অনেক ঝামেলাও আছে। একে তো অনেক খরচ। তা ছাড়া স্পেশ্যাল এফেক্টস দরকার। কয়েক বছর আগেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ভিএফএক্সে বেশ কমজোর ছিল। যখন দেখলাম যে, ভিএফএক্স আয়ত্তে এসে গিয়েছে, তখন ছবির পরিকল্পনা করেই ফেললাম। আর এই গল্প নির্বাচনেরও একটা কারণ ছিল। নকুড়বাবু আমার খুব প্রিয় চরিত্র। তা ছাড়া শঙ্কু তো সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়। ফলে অন্য কোনও গল্প নিয়ে ছবি করলে বেশির ভাগই ইংরেজিতে কথোপকথন হয়ে যেত। তাই ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ গল্পটি বাছলাম, যাতে নকুড়বাবুর মাধ্যমে ভাষার সংযোগটা ধরে রাখা যায়।’’
ছবির চরিত্রদের খুঁজে পেতেও খুব বেশি সমস্যা হয়নি। সত্যজিৎ রায়ের স্কেচ মিলিয়েই অভিনেতার খোঁজ শুরু হয়। শুভাশিসের কথায়, ‘‘সত্যজিৎবাবুর স্কেচে নকুড়বাবুকে দেখে মনে হল যেন আমিই! কিন্তু সাহিত্যের একটি চরিত্রকে বাস্তবে রূপ দিতে পরিশ্রম তো করতেই হয়েছে। শুটিংয়ের জন্য আমাজ়ন যাওয়ার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ।’’
ছবিতে তাঁর চরিত্র প্রসঙ্গে ধৃতিমান বললেন, ‘‘প্রোফেসর শঙ্কুর গল্পগুলি যেহেতু ডায়েরির ফর্মে লেখা, ফলে সেখান থেকে চরিত্রটি গড়া একটু কঠিন। আমাদের হাতে কয়েকটি সূত্র ছিল। তার মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের স্কেচ থেকেও ধারণা পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ তো বটেই, শঙ্কুর বাকি গল্পগুলিও পড়ে ফেলেছিলাম। আর পরিচালকেরও তো একটা দৃষ্টিকোণ আছে। যে ভাবে উনি প্রোফেসর শঙ্কুকে তৈরি করতে চেয়েছেন, সেই রূপই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই ছবিতে।’’
কলকাতা, বোলপুর, দেওঘর থেকে শুরু করে ব্রাজিলের সাও পাওলো এবং আমাজ়নের জঙ্গলেও শুটিং হয়েছে। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাজ়িলের কিছু অভিনেতাও। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে ছবিটি। ট্রেলার মুক্তি পাচ্ছে আজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy