নৈঃশব্দ্যের আগল ভাঙেনি। তবে ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটি ভূতের মতো সিনেমা হল থেকে মিলিয়ে গেল কেন, লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে তা জানতে চেয়েছেন ছবিটির প্রযোজকেরা। অন্যতম প্রযোজক ইন্দিরা উন্নিনায়ার বুধবার বলেন, ‘‘আমরা গুরুগ্রাম থেকে কুরিয়রে চিঠিটা পাঠিয়েছি। আশা করছি সেটি হাতে পেলেই লালবাজারের তরফে সদুত্তর পাব।’’
কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও কোনও চিঠি হাতে আসেনি। তাঁর কথায়, ‘‘চিঠি পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাবে।’’ গত শুক্রবার ৬০টি হলের ৪৪টি পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল অনীক দত্তের ছবি। ইন্দিরার কথায়, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম, আরও বেশি হলে ছবিটা মুক্তি পাক। ছবির জন্য নির্ধারিত সময় জানাতেও বিভিন্ন হলের এ বার কিছুটা দেরি হয়। এখন মনে হচ্ছে, ছবি মুক্তির আগেই হলমালিকদের উপরে কোনও চাপ ছিল, যা থেকে ওঁরা কিছু একটা আশঙ্কা করেছিলেন।’’ পুলিশ ছাড়া বিভিন্ন হল ও মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টা জানতে চেয়েছেন প্রযোজকেরা। এখনও কারও কাছেই সাড়া মেলেনি। ইন্দিরা বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত হয়তো আদালতেই বিষয়টা মিটবে। পুলিশ বা হলমালিকেরা কী বলেন, অপেক্ষা করছি। আগামী সপ্তাহেই কোর্টে যাব, নিশ্চিত।’’ প্রবীণ চিত্রপরিচালক রাজা দাশগুপ্তের কথায়, ‘‘সেন্সরপ্রাপ্ত একটা ছবি কোনও বিক্ষোভ ছাড়াই হল থেকে তুলে দেওয়া হল, এমন ঘটনা আমার জানা নেই।’’ আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রতিবাদ-কর্মসূচিও জারি রাখতে চান অনীকের ‘ভূতে’দের সুহৃদেরা। কাল, শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সামনে এই অন্তর্ধান-রহস্য তাঁরা মেলে ধরবেন।
তবে এই মুহূর্তে কলকাতার বাইরে সোদপুর, ব্যারাকপুর, বারাসতের তিনটি হলে চলছে ছবিটা। ব্যারাকপুরের হল মালিক সুনীল সামন্ত বলেন, ‘‘দুটো শো চলছে। লোকের মুখে মুখে একটা আগ্রহও রয়েছে ছবিটা নিয়ে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেও ছবিটা আমরা রাখতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy