প্রাচী দেশাই
প্র: আপনাকে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে চট করে কেউ ভাববে না। প্রস্তাব পেয়ে আপনি অবাক হননি?
উ: আমার পরিচালক আবান ভারুচা ডেওহান্স ঠিক এটাই বলেছিলেন। প্রথম দিন সেটে পরিচালক আমাকে দেখে মজা করে পার্সি ভাষায় বলেন, ‘এত মিষ্টি পুলিশ অফিসার কোথা থেকে এল?’ আসলে ‘সাইলেন্স’-এ আমার চরিত্র সঞ্জনার ফোকাস পয়েন্ট ছিল, মেয়েটি শুধুমাত্র বুদ্ধির জোরে বড় পুলিশ অফিসার হয়েছে। চেহারা রাফ অ্যান্ট টাফ করার উপরে জোর দেওয়া হয়নি। তবে আমি ভাগ্যবান যে, আমার উপরে নির্মাতারা ভরসা করেছেন। আর আবানেরও এটা প্রথম ছবি।
প্র: মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কী রকম ছিল?
উ: মনোজ স্যরের স্ক্রিন ইমেজের চেয়ে উনি একেবারেই আলাদা। সেটে সারাক্ষণ জোক শোনান। আবার ক্যামেরা চালু হলে একদম সিরিয়াস। সেটে ওঁকে শুধু দেখেই অনেক কিছু শিখতাম।
প্র: আপনার কেরিয়ারের ১৫ বছর হল। কী ভাবে দেখেন এই জার্নি?
উ: যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৭। আমি ভাগ্যবান যে, ‘কসম সে’ ধারাবাহিকে বাণীর মতো একটা চরিত্র পেয়েছিলাম। তখন সব ঘরে ঘরে বাণীর ভক্ত। এখনও অনেক দর্শক আমাকে ওই নামটা দিয়েই মনে রেখেছেন। তার পরে ১৯ বছর বয়সে ‘রক অন’-এর মতো ছবি দিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ। তবে কাজ পাওয়ার জন্য কখনও তাড়াহুড়ো করিনি। কেরিয়ারের দৌড় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম।
প্র: মাঝে কয়েক বছর তো একেবারেই কাজ করেননি। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে কী ভাবে মানিয়ে নিয়েছিলেন?
উ: স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, আমি অনেক মানসিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। কিন্তু সেই মানসিক অবসাদ কাটিয়ে আমি বেরিয়ে এসেছি। নিজেকে মনে করাতাম, কী ভাবে আমার প্রথম ব্রেক পেয়েছিলাম। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে আজ যে জায়গায় পৌঁছেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বিদ্যা বালন, মনোজ বাজপেয়ীর মতো অভিনেতাদের দেখলে মনে সাহস পাই।
প্র: পার্টি সার্কলে আপনাকে একদমই দেখা যায় না। ইচ্ছে করেই কি দূরে থাকেন?
উ: এটা আমার স্বভাব বলতে পারেন। কাজ করতে গেলে কেন পার্টি করতে হবে, সেটা আজও বুঝে উঠতে পারিনি। নিজেকে জাহির করতে পারি না। বরং বাড়িতে নিজের পোষ্যদের নিয়ে সময় কাটাতে ভাল লাগে। যখন কাজকর্ম ছেড়ে দেব, তখন পশুদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে আমার।
প্র: বিয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন?
উ: ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না। বিয়ে করলে, সকলকে জানিয়েই করব। বিয়ে না করলে একটা মেয়ে টিকে থাকতে পারবে না, এই ধারণা থেকে সমাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমি চাই লোকে আমাকে আমার কাজ দিয়েই মনে রাখুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy