পরীমণি।
জামিন হল না পরীমণির। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার হন বাংলাদেশের অভিনেত্রীপরীমণি। দুই দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
অন্য দিকে, তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমানচন্দ্র মণ্ডল পরীমণির জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরীমণির জামিন আবেদনে তাঁর আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতকে জানান, পরীমণি ‘ভার্টিগো’ এবং ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর রোগী। তিনি দীর্ঘসময় পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হেফাজতে থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি। জরুরি চিকিৎসার স্বার্থে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক।
পাল্টা বক্তব্যে পরীমণিকে জামিন না দিয়ে হাজতে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। আবেদনে তিনি বলেন, 'মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমণি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে রাখা প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমণি) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’
বিচারপতি জামিন না-মঞ্জুর করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy