পরীমণি।
‘আমার বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা ১০০ শতাংশ মিথ্যে।’
মঙ্গলবার আরও দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর প্রাণপণে চিৎকার করে এই কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণিকে। মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার পরীমণিকে আরও পাঁচ দিন হেফাজতে রাখার অনুমতি চেয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু শুনানির পর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
ওপার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমের বর্ণনা অনুযায়ী, আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় কঠোর নিরাপত্তার বলয় ঘিরে রাখে বাংলাদেশের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তারকাকে। দুই মহিলা পুলিশকর্মী তাঁর হাত ধরে রাখেন। চারদিক থেকে অজস্র মানুষ এবং সাংবাদিকের ভিড় কাটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পরীমণিকে। তখনই গলা ফাটিয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘আমাকে একটা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কী করছেন আপনারা? তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন।’
এখানেই থেমে যাননি তিনি। পরীমণি বলেন, ‘আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে ওপেন সার্চ করুন।’ এর পরেই তাঁকে সেখান থেকে হাজতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ মদ এবং মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পরীমণিকে। গ্রেফতার হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের এক পুলিশকর্তার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। গত জুন মাসে ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিন মাহমুদ এবং তাঁর বন্ধু সিদ্দিকি অমিরের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরীমণি। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন গোলাম শাকলায়েন। জানা যাচ্ছে, তদন্ত চলাকালীনই পরীমণির সঙ্গে তাঁর ‘সখ্য’ গড়ে ওঠে। ‘অপেশাদার আচরণ’- এর জন্য দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই শাকলায়নের সঙ্গেই পরীমণির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো সামনে এসে বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy