প্রায় এক মাস হাজত বাসের পর জামিন পেলেন পরীমণি। ছবি: ফেসবুক
বাড়িতে নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগে গত ৫ অগস্ট গ্রেফতার হন সে দেশের তারকা অভিনেত্রী পরীমণি। গ্রেফতারির ২৬ দিনের মাথায় ৩১ অগস্ট জামিন পেলেন তিনি। এ দিন দুপুর ২টোর (ভারতীয় সময়) পর মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিনেত্রীর জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জামিন পাওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানান পরীমণির আইনজীবী মুজিবুর রহমান। প্রসঙ্গত, সোমবারেই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর মুক্তির দাবি জানায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয় বলে খবর। কাকতালীয় ভাবে এর পরের দিনই জামিন মঞ্জুর হয় পরীমণির।
মাদক-মামলায় পরীমণির তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষ হয়েছিল শনিবার। ওই দিন দুপুরে আদালতে তোলা হয় তাঁকে। শনিবারেও তাঁর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কার্যত ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে ৩১ অগস্ট ধার্য করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি। এ দিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার দু’দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠন পরীমণির হয়ে দীর্ঘ দিন কোনও বক্তব্য রাখেনি। তাঁর সমর্থনে কোনও পদক্ষেপও করেনি।
সোমবার সংগঠনের দেওয়া বিবৃতিতে এর কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছিল না। একই কারণে সংগঠন তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্যও করেনি। পাশাপাশি, অনেক চেষ্টা করেও পরীমণির সঙ্গে সংগঠনের কোনও সদস্য যোগাযোগ করতে পারেননি। ফলে, পরীমণির হয়ে বিবৃতি দিতে সংগঠনের এত দেরি হয়ে গেল। বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান জানানোর পাশাপাশি সংগঠন পরীমণির হয়ে ন্যায়বিচারও চেয়েছে।
গত ৪ অগস্ট বনানীর বাড়ি থেকে পরীমণিকে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ৫ অগস্ট তাঁকে আদালতে তোলা হলে চার দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। ১০ অগস্ট পরীমণির আরও ২ দিনের রিমান্ড বহাল রাখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy