সকাল ১০টা নাগাদ কারাগারের ফটকের বাইরে পা রাখেন পরীমণি।
২৬ দিন পরে খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিলেন পরীমণি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ বাংলাদেশের গাজিপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের বাইরে পা রাখেন তিনি। তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রী মুক্তি পাচ্ছেন, এই খবর ছড়াতেই ভোর থেকে জেলের সামনে অনুরাগীদের ভিড়। বুধবার সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন জানান, মঙ্গলবার পরীমণির জামিন হলেও নির্দিষ্ট সময়ে জামিনের কাগজ এসে পৌঁছোয়নি। ফলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে জামিনের নথিপত্র যাচাইয়ের পর অভিনেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার জামিনের খবর শোনার পরেই পরীমণিকে এক ঝলক দেখতে কারাগারের সামনে মানুষের ঢল নামে। বুধবার ভারতীয় সময় সকাল ৯ট নাগাদ পরীমণিকে নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেসো জসিমউদ্দিন সহ কয়েক জন নিকটাত্মীয়, আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সেখানে পৌঁছে যান। জেলের বাইরে পা রেখেই তাঁর চোখে-মুখে মুক্তির আনন্দ। সাদা পোশাক, মাস্ক, ব্যান্ডানায় আগের মতোই তরতাজা তিনি। অনুরাগীদের সঙ্গে নিজস্বী তুলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও তাঁর হাতের তালুতে লেখা ‘ডোন্ট লাভ (চিহ্ন) মি বিচ’ কথাটি ইতিমধ্যেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে পরীমণির আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত দু'পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর তাঁর জামিনের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও সঠিক সময়ে জামিনের কাগজ কারাগারে না পৌঁছনোয় আরও একটি রাত কাশিমপুর কারাগারেই কাটাতে হয় পরীমণিকে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী প্রায় দুপুর ২টো) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীমণির জামিনের আদেশ দেন। আইনজীবীর দাবি, আদালতের বিচারে একাধিক কারণে জামিন পেলেন অভিনেত্রী। পরীমণি অভিনেত্রী এবং এক জন নারী। পাশাপাশি, তাঁর জন্য সরকারি অনুদানে নির্মীয়মাণ ছবি ‘প্রীতিলতা’র শ্যুট আটকে রয়েছে। এ সব বিবেচনা করেই চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে পর্যন্ত জামিন মিলেছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy