পরীমণির পাশে তসলিমা।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই আশ্রয়হীন পরীমণি। তিনি জেল ফেরত, তাই ভাড়া বাড়ি ছাড়তে হবে। বাড়িতে পা রাখা মাত্র বাড়িওয়ালার থেকে এমনই নোটিস পেয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী। নোটিস পেয়েই অসহায় পরীমণির প্রশ্ন, ‘‘আমি এখন কোথায় যাব!’’ এমন অবস্থায় তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আরও এক বার নেটমাধ্যমে সরব হলেন তসলিমা। লেখিকার দাবি, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ তাঁর সঙ্গে একাধিক বার এই আচরণ করেছে। পুরো ঘটনায় তিনি ‘ষড়যন্ত্র’-র আঁচ পাচ্ছেন। নিজের জীবনে এমন অভিজ্ঞতার জন্য তসলিমা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রয়াত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে।
পরীমণির কথা জানার পর তসলিমা তাঁর দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, ‘এ রকম আমিও বলেছিলাম সে দিন! পরীমণির অসহায়তা আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি।’ নিজের কথা বলতে গিয়ে লেখিকার মনে পড়ছে কলকাতার সেই দিনগুলোর কথা। তসলিমা লিখছেন, ‘৭ নম্বর রওডন স্ট্রিটে ডাক্তার দেবল সেনের বাড়িতে আমি তখন ভাড়া থাকি। ২০০৭ সাল। পুলিশ কমিশনার এসে জানিয়ে যাচ্ছেন আমাকে দেশ ছাড়তে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশ যদি আপাতত না-ও ছাড়ি, রাজ্য আমাকে আজ বা কালের মধ্যেই ছাড়তে হবে।’ একই সঙ্গে তাঁর ক্ষোভ প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও। তসলিমা পোস্টে লিখেছেন, ‘সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যখন ফোন করে বললেন আমাকে রাজ্য ছাড়তেই হবে, বুঝলাম যাঁদের উচিত ছিল পাশে দাঁড়াবার, তাঁরাই পাশে দাঁড়াচ্ছেন না।’
তসলিমার আরও অভিযোগ, ‘চারদিক থেকে যখন অন্ধকার নেমে আসছে, তখন আমার বাড়িওয়ালা আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দিয়েছিলেন! সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীই বাড়িওয়ালাকে বলেছিলেন ওই নোটিসটি দিতে। ষড়যন্ত্র কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সে দিন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম।’ পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘পরীমণির শত্রু যেমন কম নয় অনুরাগী, শুভানুধ্যায়ীও তেমন কম নয়। তাঁরা এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়াবেন। আমার বিশ্বাস।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy