Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
porimoni

Pori Moni: কার জোরে লড়ে জিতছেন পরীমণি? জেলজীবন কেমন কাটালেন তিনি?

একটি চিঠিই তাঁকে উৎসাহিত করেছে লড়াইয়ে। পরীমণি লিখেছেন, ‘একটা চিঠি....আমার সব শক্তির গল্প।'

নিন্দুকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা লিখলেন পরীমণি।

নিন্দুকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা লিখলেন পরীমণি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৫২
Share: Save:

এক দিকে তাঁকে নিয়ে বিতর্কের ঝড়। অন্য দিকে, সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। খুব সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু সেটাই প্রতি মুহূর্তে করছেন পরীমণি। সেই লড়াই লড়তে লড়তেই হাতের তালুতে মেহেন্দি দিয়ে নিন্দুকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা লিখছেন। অনায়াসে সেই বার্তা সবার সামনে তুলেও ধরছেন। এত শক্তি কোথা থেকে পাচ্ছেন এই বিতর্কিত বাংলাদেশি অভিনেত্রী? রবিবার সে কথা নেটমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। একটি চিঠির ছবি ভাগ করে নিয়ে বলেছেন, এই চিঠিই তাঁর সমস্ত শক্তির উৎস। পাশাপাশি, সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে এও জানিয়েছেন, জেলে থেকে মোটা হয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর ওজন বেড়েছে!

৪ অগস্ট গ্রেফতারির আগে শেষ লাইভ সম্প্রচারে এসেছিলেন অভিনেত্রী। এর ঠিক এক মাস এক দিন পরে ফের নিজের ফেসবুকে এলেন তিনি। ভাগ করে নিলেন তাঁর নানু অর্থাৎ দাদু শামসুল হক গাজিকে লেখা একটি চিঠি। যেখানে শতবর্ষ পেরনো দাদুকে জেলবন্দি নাতনি আশ্বস্ত করে লিখেছেন, ‘আমি ভাল আছি। চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা দিব।' দাদুকে লেখা এই চিঠিই তাঁকে শক্তি জুগিয়ে গিয়েছে। নিজের মতামত জানাতে গিয়ে অকপটে স্বীকার করেছেন পরীমণি। লিখেছেন, ‘একটা চিঠি....আমার সব শক্তির গল্প।' প্রসঙ্গত, খুব ছোটবেলায় পরীমণি মাকে হারান। আরেকটু বড় হয়েই হারান বাবাকে। এর পরে পিরোজপুরে দাদু শামসুল হক গাজির কাছে বড় হন তিনি। তাই মা-বাবা হারা নাতনি জেলবন্দি হতেই ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন দাদু। নিজে গিয়েছিলেন নাতনির সঙ্গে দেখা করতে। যদিও নাতনিকে এক বার চোখের দেখাও দেখতে পাননি তিনি। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে কাছে পরে সেই ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিয়েছিলেন শামসুল হক গাজি। তাঁর নানুর কাছে ফিরতে হবে, এই জেদই তাঁকে প্রেরণা দিয়েছে লড়াইয়ে, এমনই বলতে চেয়েছেন 'প্রীতিলতা' চরিত্রের অভিনেত্রী।

ইতিমধ্যেই পরীমণির এই বার্তা ভাইরাল নেটমাধ্যমে। হাতের মেহেন্দি-বার্তার পর আবারও তাঁর নিশানায় নিন্দুকেরা। যাঁরা তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রতি মুহূর্তে কুমন্তব্য করে চলেছেন। তাঁদেরকেই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, কোনও প্রণয়ী নয় পিতৃসম দাদুই তাঁর লড়াইয়ের প্রেরণা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, জেলে শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করতে পারায় ৩ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছে তাঁর। যদিও এই নিয়ে চিন্তিত নন অভিনেত্রী। তিনি জানেন, কড়া নিয়মের মধ্যে থাকলেই ফের তিনি আগের চেহারা ফিরে পাবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

porimoni Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy