পরীমণির বাড়ির মালিক সাফ জানিয়েছেন, তিনি জেলবন্দিকে কোনও ভাবেই তাঁর বাড়িতে জায়গা দেবেন না।
ভেবেছিলেন, জেল থেকে বাড়ি ফিরে নিরাপদে থাকবেন। সেই আশা পূর্ণ হয়নি পরীমণির। বাড়িতে পা রেখেই বাড়িওয়ালার নোটিস পেয়েছেন। বাড়ির মালিক সাফ জানিয়েছেন, তিনি জেলবন্দিকে কোনও ভাবেই তাঁর বাড়িতে জায়গা দেবেন না। অসহায় পরীমণির প্রশ্ন ছিল, ‘‘আমি এখন কোথায় যাব!’’ নিরাপত্তার কারণে তাঁর নেটমাধ্যমের পাতাতেও মন্তব্য বিভাগ নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। তিনি তাঁর মনের কথা সেখানে তুলে ধরলেও কেউ তাতে ভাল-খারাপ কোনও মন্তব্যই আর করতে পারবেন না। তার পরেও কি নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ভাবতে পারছেন না পরীমণি? সোমবারে তিনি ফেসবুকে ফের খোলা বার্তা দিয়েছেন তাঁর মাতৃভূমিকে। সেখানে তাঁর কাতর অনুরোধ, ‘দেশমাতা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তায় মানুষগুলোও এত অনিরাপদ না। এক বার একটু দেখেন না আমার দিকে। কী করে বেঁচে আছি!'
আবার কি কোনও নতুন কোনও বিপদে জড়ালেন জামিনে মুক্ত অভিনেত্রী?
জানা যায়নি। তবে ঠিক এ ভাবেই ঢাকা বোটিং ক্লাবে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর হাতে হেনস্থা হওয়ার পর তিনি নিজের প্রাণভিক্ষা চেয়ে কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। নিরাপত্তা চেয়ে তাঁকে ‘মা’ সম্বোধন করে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন নেটমাধ্যমে। সে বারও একই ভাবে তিনি লিখেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এই দেশের আশীর্বাদ। আপনি মা। আপনি মমতার আঁচলে জড়িয়ে রাখেন আপনার সকল সন্তানকে।' সঙ্গে সঙ্গে পরীমণির সমর্থনে বিশাল জনমত তৈরি হয়ে যায়। সোমবারেও নিরাপত্তা চেয়ে খোলাখুলি প্রার্থনা জানাতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন ৫৫ হাজার নেটাগরিক।
অনুরাগীরা কি আবারও পরীমণির ঢাল হয়ে উঠতে চলেছেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy