সইফ আলি খানের উপর ছুরি হামলায় ধৃত সন্দেহভাজন শরিফুল ইসলাম শাহজ়াদকে বসতে হবে পরীক্ষায়। ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় ধন্দ যেন কাটতেই চাইছে না। গভীর রাতে বলিউডের তারকা দম্পতির বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতী। তার পর গৃহকর্তাকেই ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পালায় সে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছিল গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে। সে দিনই মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় সইফকে। তার পর থেকে বান্দ্রার সৎগুরু শরণ আবাসনে দফায় দফায় তদন্ত করেছেন মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ওই আবাসনের প্রবেশদ্বারে বা সইফের ফ্ল্যাটের সামনের নজরদারি ক্যামেরাগুলি সক্রিয়ই ছিল না। পরে অবশ্য পুলিশ দাবি করে, আপৎকালীন দরজার দিকে পিছনের সিঁড়ির ক্যামেরা থেকে কিছু ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। যেখানে এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে রাত আড়াইটা নাগাদ। ওই ফুটেজ সে দিনই সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করে ফেলে পুলিশ।
ওই ফুটেজের উপর ভিত্তি করে গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত চার জন ব্যক্তিকে আটক করেছিল মুম্বই পুলিশ। সর্বপ্রথম যাঁকে আটক করা হয়, তাঁকে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। এ ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। নানা ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশ জুড়ে। সব শেষে গত রবিবার, ঠাণে এলাকার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ নামে এক ব্যক্তিকে।
মুম্বই পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা। প্রায় সাত মাস আগে মেঘালয় সীমান্তের কাছে ডাউকি নদী পেরিয়ে অসম-কলকাতা হয়ে মুম্বইয়ে আসেন কাজের খোঁজে। গত ডিসেম্বরে কাজ হারিয়েই বিত্তবানের ঘরে চুরির সিদ্ধান্ত নেন। অন্য কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। চুরিতে বাধা পেয়েই তিনি গৃহকর্তার উপর ছুরি নিয়ে হামলা করেন।
এ দিকে, সংবাদমাধ্যমকে মুম্বই পুলিশ জানিয়ে দেয় বাংলাদেশে শরিফুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। তাঁর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সচিত্র পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে। তার পরই শরিফুলের বাবা দাবি করেন, মুম্বই পুলিশের তরফে প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর ছেলে শরিফুল নন।
এ বার এই সব তথ্যের সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে প্রযুক্তির শরণাপন্ন হচ্ছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কালিনার ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে ‘ফেশিয়াল রেকগনিশন টেস্ট’ (এফআরিট) করানো হবে। পরীক্ষা করে দেখা হবে শরিফুলের চেহারা আদৌ ওই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তির সঙ্গে মিলছে কি না!
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ও আক্রান্তের রক্তের নমুনা, রক্তের দাগ লাগা জামাকাপড়-সহ অন্য প্রমাণ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তরফে এক আধিকারিক বলেছেন, “ফরেন্সিক পরীক্ষায় মুখের আকৃতি ও গঠন পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞেরা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তির সঙ্গে শরিফুলের মুখ মিলিয়ে দেখা হবে।”
শুক্রবার, শরিফুলকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করে পুলিশ দাবি করে, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। তার পরেই বিচারক তাঁকে আরও পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রেখে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেখানেই এফআরটি-র কথাও বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy