প্রতীকী ছবি।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও স্পষ্ট হচ্ছে মেরুকরণ। কলকাতা প্রেস ক্লাবে শনিবার প্রকাশ্যে এল ‘বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ’ নামে গেরুয়া শিবিরের একটি সংগঠন। সঙ্গে ছিল ২০১১ সালে তৈরি আরএসএস নিয়ন্ত্রিত সংগঠন কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। ওই দুই সংগঠনের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হল, গত আট বছর ধরে চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী ও কলাকুশলীরা প্রবল চাপে আছেন। তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রতি অনুগত না হলে যোগ্য শিল্পী এবং কলাকুশলীদের কাজ ও কার্ড দেওয়া হয় না। পারিশ্রমিকও বকেয়া থাকে। এমনকি তা চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকিও শুনতে হয়।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডার হুঁশিয়ারি, ‘‘আগামী সাত দিনের মধ্যে শিল্পী ও কলাকুশলীরা প্রাপ্য টাকা না পেলে ইম্পার সামনে আমরা অনশনে বসব। আর শিল্পী, কলাকুশলীদের হুমকি দেওয়া হলে নেতাদের বাড়ির সামনে থালা নিয়ে বসে ভাত খাব।’’ বর্ষীয়ান চিত্রতারকা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এ দিন মুম্বই থেকে এসে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘‘শিল্পী এবং কলাকুশলীদের দুঃখের দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।’’ এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন ওই পরিষদের সভাপতি এবং বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী।
ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস অবশ্য পরিষদ এবং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ওই সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁরা চলচ্চিত্র জগতে গেরুয়াকরণের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আজ, রবিবার সকাল দশটায়, টালিগঞ্জের আইটিআই-এর মাঠে সভা করবেন তাঁরা। ইন্ডাস্ট্রির সব পক্ষের কয়েক হাজার প্রতিনিধি সেখানে থাকবেন বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার আর্টিস্টস ফোরাম এবং তৃণমূলের সদস্য ইন্দ্রাণী হালদার অবশ্য বলেন, ‘‘এই ফোরামের শীর্ষ স্থানে যাঁরা আছেন, তাঁরা এই সংগঠনে রাজনৈতিক রং লাগানোর পক্ষপাতী নন। রবিবার ফেডারেশনের একটা সভা আছে, শুনেছি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার নির্দেশ এখনও পাইনি।’’ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক শিবিরের নই। রবিবারের সভায় আমরা যাচ্ছি না।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy