ছবিতে তিনটি জুটি। প্রিয়ঙ্কা সরকার ছাড়া কেউই বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। কিন্তু তা বলে বিয়ে সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা তাঁদের কম নেই। আসলে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে তো সকলেই পা দিয়েছেন! আর টিমের ক্যাপ্টেন বিরসা দাশগুপ্ত তো রয়েছেনই অভিজ্ঞতা জোগান দেওয়ার জন্য।
পরিচালক মনে করিয়ে দিলেন, এই ছবির অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (যিনি চিত্রনাট্যও লিখেছেন) বিয়ে না করলেও তা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা নাকি সবচেয়ে বেশি! ‘‘রুদ্রর অনেক বয়স হয়ে গেল, কিছুতেই বিয়ে হচ্ছে না। নতুন বৌয়ের জন্য ফ্ল্যাট কিনে সাজিয়ে রেখে দিয়েছে। কিন্তু পাত্রী আর পাওয়া যাচ্ছে না। ‘বিবাহ অভিযান’-এর মধ্য দিয়ে ও পাত্রীদের কাছে নিজের বায়োডেটা পাঠাতে চাইছে।’’ ঠুকে খেলেই রুদ্রনীলের এত অভিজ্ঞতা যে ‘বিবাহ অভিযান’-এর স্ক্রিপ্ট লিখতে তাঁর বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি, বলছেন বিরসা!
পরিচালক নিজেও ব্যক্তিগত জীবনের ইনপুট দিয়েছেন। এবং জোর গলায় জানালেন, স্ত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তীকে তিনি রীতিমতো ভয় পান। তাঁর মতে, সুখী জীবনের চাবিকাঠি হল স্ত্রীকে খুশি রাখা।
কিন্তু নিজেকে খুশি রাখারও তো একটা বিষয় আছে। ছবিতে অঙ্কুশ ও রুদ্রনীলের চরিত্র দু’টি তাদের স্ত্রী নুসরত ফারিয়া এবং সোহিনী সরকারের হাত থেকে খানিক নিস্তার পেতে মিথ্যে কথা বলে। এ দিকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছবিতে তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কাকে পাওয়ার জন্য মিথ্যে বলেন। দু’টি মিথ্যে মিলে তৈরি হয় গোলমেলে পরিস্থিতি।
এই সিচুয়েশনাল কমেডির ট্রেলার দেখে মনে হতে পারে, সবটাই একটু উঁচু তারে বাঁধা। পরিচালকও অস্বীকার করলেন না, ‘‘একটু হাইপার রিয়্যালিটি জ়োন থেকে বিষয়টি দেখেছি। ঝগড়াঝাঁটি সব সম্পর্কেই হয়। কিন্তু শেষমেশ ভালবাসাই জয়ী হয়।’’
পরিচালকের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল অঙ্কুশ, রুদ্রনীল এবং অনির্বাণের জন্য কেমন পাত্রী দরকার? ‘‘রুদ্রনীলের জন্য শান্ত, চুপচাপ, অসীম ধৈর্য আছে, এমন মেয়ে দরকার। যে ওর জ্ঞান শুনতে পারবে। অঙ্কুশকে প্যাম্পার করবে, এমন মেয়ে চাই। ঐন্দ্রিলা একদম ঠিক আছে ওর জন্য। আর গম্ভীর অনির্বাণের জন্য হাসিখুশি মেয়ে দরকার। যাতে একে অপরের পরিপূরক হয়,’’ বিস্তারিত ব্যাখ্যায় বললেন বিরসা।
পাত্রীপক্ষ শুনছেন তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy