Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

‘কম বয়সিরা রাজনীতিতে না এলে উন্নতি হবে না’

সদ্য বিজেপিতে যোগদান করে কী বলছেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র? বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন টলিউডের একঝাঁক অভিনেতা। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে এর আগে রাজনীতির মঞ্চে দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রম পার্নো। দিনভর তাঁকে নিয়েই আলোচনায় মুখর টলিউড ইন্ডাস্ট্রি!

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

যাঁরা পার্নো মিত্রকে চেনেন, তাঁরা জানেন অভিনেত্রীর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক ছিল না। যদিও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তিনি বরাবরই ওয়াকিবহাল। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন টলিউডের একঝাঁক অভিনেতা। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে এর আগে রাজনীতির মঞ্চে দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রম পার্নো। দিনভর তাঁকে নিয়েই আলোচনায় মুখর টলিউড ইন্ডাস্ট্রি!

প্র: অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করলেন। কিন্তু আপনাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে...

উ: কী করব বলুন, মানুষের আলোচনায় তো রাশ টানতে পারব না। তবে অনেকেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সমালোচনা করছেন দেখলাম। কিন্তু নতুন একটা জিনিস শুরু করেছি, সেখানে ভালটুকু নিয়েই এগোতে চাই। নেগেটিভিটি থেকে যতটা দূরে থাকা যায়।

প্র: আপনি রাজনীতিতে আসবেন, এটা আপনার ঘনিষ্ঠরাও ভাবেননি!

উ: রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে আমাদের মতো নতুনদের এগিয়ে আসতে হবে। এখানে সব কিছু ভাল ভাবে চললে হয়তো আসতাম না। তবে কাছের লোকেরা আমাকে সমর্থনই করেছেন।

প্র: অভিনেতারা রাজনীতিতে এলে কোনও কিছুর প্রত্যাশাতেই আসবেন বলে ধরে নেওয়া হয়। আপনার কারণটা ঠিক কী?

উ: মানুষের ভাল করার প্রত্যাশায় এসেছি। দীর্ঘ দিনের বাম রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গের কিছু উন্নতি ঘটেনি। তার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এল। সেখানেও একই অবস্থা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং চাকরি— এই তিনটি ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও বেকার হয়ে বসে আছেন অনেকে। পড়াশোনা করেও লোকে চাকরি পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিটা বদলানো দরকার। বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যগুলো কিন্তু এ ব্যাপারে উন্নতি করেছে।

প্র: কবে এবং কী ভাবে প্রস্তাব পেলেন একটু বলবেন?

উ: (হাসি) সেটা কী এখন খুব জরুরি? লোকসভা নির্বাচনের পরেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, এটুকুই বলতে পারি।

প্র: রাজনীতিতে আপনার আগ্রহের কথা তো আগে শোনা যায়নি।

উ: এটা হয়। অনেকেই জানেন না, আমার বাবা বিজেপি সমর্থক ছিলেন। সেই প্রভাবটা হয়তো আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি বরাবরই আপ টু ডেট।

প্র: মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানের রাজনীতিতে আসা এবং তাঁদের জনপ্রিয়তা-প্রতিপত্তি দেখেই আপনার এই পদক্ষেপ, বলে মনে করা হচ্ছে...

উ: আমি কী ভেবে বিজেপিতে জয়েন করলাম, সেটা অন্যরা কেমন করে বুঝতে পারছেন, জানি না! আমি মিমি-নুসরতের বিরুদ্ধে একেবারেই নই। বরং ওরা যে কম বয়সে রাজনীতিতে এসেছে, এটাকে সমর্থন করি। নতুনদের তো এগিয়ে আসতেই হবে।

প্র: কখনও আপনার ব্যক্তিগত মতামতের সঙ্গে দলীয় মতের বিরোধ হলে কী করবেন?

উ: আমি নরেন্দ্র মোদীর ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচীর শরিক হতে চাই। আর উন্নয়ন সকলকে স্পর্শ করে। সদ্য এসেছি, বিষয়গুলো বুঝতে একটু সময় লাগবে।

প্র: রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কী করবেন ঠিক করেছেন?

উ: দলের নির্দেশে কাজ শুরু করব।

প্র: ফিল্ম কেরিয়ার কি ব্যাকফুটে?

উ: একদমই না। সামনে কয়েকটা ছবি আছে। ওয়েব সিরিজ়ও করব।

প্র: ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভেবেছেন?

উ: আমার মতে, ইন্ডাস্ট্রি থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখাই ভাল। টলিউড আমার কাজের জায়গা। এখানে আমি দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে চাই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy