পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
ওয়েব সিরিজ 'মির্জাপুর' খ্যাত অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে ইদানীং সবাই চেনেন। আগে 'গ্যাংস অব ওয়াসিপুর' দেখেই অনেকে ভক্ত হয়েছিলেন তাঁর। কিন্তু কেউ কি জানেন ২০০৪ সালের আগে তিনি কোথায় ছিলেন? কী করছিলেন? অনেকেই বলতে পারবেন না।
আসলে পঙ্কজের জীবনকাহিনী নিতান্তই সাদামাঠা। আজও ছাপোষা মানুষ, তারকাসুলভ জীবনযাপন করেন না। সে নিয়ে তাঁর আফশোসও নেই, বরং রয়েছে বিস্ময়। মানুষ কী ভাবে এত টাকা কেবল বাহ্যিক চাকচিক্য বানাতে খরচ করে, তিনি এই বয়সেও ভেবে পান না।
বিহারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে আধপেটা খেয়ে বড় হয়েছেন পঙ্কজ। বাড়িতে একটা টিভি পর্যন্ত ছিল না। আর্থিক প্রতিপত্তি বা প্রাচুর্য্য চোখেই দেখেননি। তবে তার পরেও কোনও দিন তাঁর জীবনে ভীষণ দুঃসময় গিয়েছে, কিংবা লড়াই করেছেন খুব, এমনটা বলতে পারেন না অভিনেতা।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ জানান তাঁর জীবনভরের উপলব্ধির কথা। বলেন, সুখী হওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই।
সস্ত্রীক পঙ্কজ মুম্বইতে ঘর বেঁধেছেন বহু দিন হল। ২০০৪ সালে 'রান' ছবিতে তাঁর বলিউডে আত্মপ্রকাশ। ছিলেন 'ওমকারা'তেও। এ ছাড়া 'রাবন', 'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর', 'দাবাং-২', 'সিংহম রিটার্নস', 'স্ত্রী', 'লুডো', 'মিমি'র মতো অজস্র জনপ্রিয় ছবি এবং সিরিজে দেখা গিয়েছে পঙ্কজকে। তবু জীবনযাত্রা এতটুকুও বদলায়নি।
অভিনেতা জানান, তাঁর স্ত্রী এক জন শিক্ষিকা। তিনি সব সময়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন। আজও দু'জনে সুখেই আছেন, নির্ঝঞ্ঝাট। পঙ্কজের কথায়, "আমি কোনও দিনই একটা বিলাসবহুল বাড়ি বা দামি গাড়ি কিনতে ঋণ নেব বলে মনে হয় না।"
গত বছর 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৩'-এর একটি পর্বে সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পুরনো কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন পঙ্কজ। বলেছিলেন, “আমি ২০০৪ সালে মুম্বই এসেছিলাম, আর ২০১২ সালে 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' হয়েছিল। আট বছর কেউ জানতই না আমি কী করছি। এখন মানুষ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে, 'তোমার সংগ্রামের দিনগুলো কেমন ছিল', বুঝতে পারি না কী বলব! ভাবি, সেগুলো আমার সংগ্রামের দিন ছিল বুঝি?"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy