অভিনেত্রী পল্লবী দে। ফাইল চিত্র ।
তাঁকে গভীর ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেন হয়নি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যু-রহস্যে নাম জড়ানো ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, সাগ্নিককে সরাসরি চিনতেন না তিনি। স্কুল এবং বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় নামমাত্র পরিচয় ছিল। ভাল করে পরিচয় পল্লবীর সূত্রেই।
সাগ্নিকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও অস্বীকার করে তিনি জানান, পুলিশকে ইতিমধ্যেই সমস্ত নথি তিনি জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি পল্লবী নিজের দরকারে তাঁকে ডাকলে তবেই তিনি পল্লবীর সঙ্গে দেখা করতেন বলেও ঐন্দ্রিলা জানান।
পল্লবীর পরিবার ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া এবং সাগ্নিকের সঙ্গে লুকিয়ে সম্পর্ক রাখার একাধিক অভিযোগ এনেছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পল্লবীর হাওড়ার বাড়িতে যাতায়াত ছিল। আমাকে পল্লবী এবং ওর পরিবার খুব ভালবাসত। আজ যদি পল্লবী বেঁচে থাকত, তা হলে আমাকে এত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হত না। ও-ই আমার পাশে এসে দাঁড়াত।’’
দিন দুয়েক আগে ঐন্দ্রিলাও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর কথায়। কিছু দিন আগেই সৌমি মণ্ডল বলে এক জনের নাম উঠে এসেছিল এই মৃত্যু-রহস্যে। আট বছর আগে আত্মহত্যা করেছিলেন সৌমি। হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা সৌমির বাবা অজয় মণ্ডলের দাবি ছিল, সাগ্নিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর মেয়ের। আর সাগ্নিকের প্ররোচনাতেই আত্মঘাতী হন তাঁর মেয়ে। সেই প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলার দাবি, না চিনলেও সৌমির মৃত্যুর পর মা-বাবার সঙ্গে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
পল্লবীর বাড়ির পরিচারিকা তাঁর সম্পর্কে পল্লবীর অনুপস্থিতিতে সাগ্নিকের সঙ্গে থাকার যে অভিযোগ এনেছেন তা-ও মিথ্যে বলেই জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। এর আগে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থারও অভিযোগ আনেন ঐন্দ্রিলা। তিনি জানান, পল্লবী কান্নাকাটি করে বারণ করার কারণেই তিনি চুপ করে ছিলেন।
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমি পল্লবীকে খুব মিস করছি। পল্লবী বেঁচে থাকলে আমাকে এই দিন দেখতে হত না।’’
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছেন সাগ্নিক। আলিপুর আদালত তাঁকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
গত রবিবার ১৫ মে পল্লবীর গরফার ফ্ল্যাটে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিনেত্রীর গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। মেয়ে যে এই ভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাস করতে চাননি পল্লবীর বাবা নীলু। তিনি রবিবারই জানিয়েছিলেন, পল্লবী এমন পদক্ষেপ করতে পারেন না। ওঁকে নিশ্চয়ই কেউ খুন করেছে। পরে পল্লবীর বাবা লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, ঐন্দ্রিলা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। এর পরই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সাগ্নিককে গ্রেফতার করে গরফা থানার পুলিশ।
তবে যতই দিন এগোচ্ছে, পল্লবীর মৃত্যু-রহস্যে ততই নতুন জট পাকাচ্ছে-খুলছে। উঠে আসছে নতুন নতুন চরিত্র এবং একাধিক দাবিও। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবী আত্মহত্যা করেছেন বলে উঠে এলেও তাঁর মৃত্যু ঠিক কী কারণে, তা খুঁজতে তৎপর পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy