Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pallavi Dey

Pallavi Dey death mystery: পল্লবী, সুশান্তের মতোই অবসাদে ভুগছে টলিপাড়া? মতামতে সুমন, অনুত্তমা, দিয়া

সুশান্তের মতোই সম্পর্কের টানাপড়েনে ফুরিয়ে গেলেন পল্লবী? টলিউডও কি অবসাদের শিকার? আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছে টলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে।

(বাঁ দিক) পল্লবী, সুমন, অনুত্তমা, দিয়া এবং সুশান্ত

(বাঁ দিক) পল্লবী, সুমন, অনুত্তমা, দিয়া এবং সুশান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ২১:৩৮
Share: Save:

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যার দু’বছরের মাথায় অভিনেত্রী পল্লবী দে-র আকস্মিক মৃত্যু। আপাতত তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি কাটাছেঁড়া চলছে সাধারণের মধ্যেও। অনেকেই ‘এই প্রজন্মের অভিনেতা’, ‘এই প্রজন্মের মানসিকতা’কে নতুন করে কাঠগড়ায় তুলছেন বা তুলতে চাইছেন। অনেকে দায়ী করছেন পরিবার ছেড়ে একা দিনযাপনকেও। সত্যি কি সুশান্তের মতোই সম্পর্কের টানাপড়েনে এত দ্রুত ফুরিয়ে গেলেন অভিনেত্রী? নানা কারণে টলিউডও কি অবসাদের শিকার? জানতে সোমবার আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ধারাবাহিক ‘মিঠাই’-এর ‘শ্রীতমা’ ওরফে দিয়া মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

দিয়ার দাবি, ‘‘আমি এখনই এতটা নেতিবাচক ভাবে পুরোটা দেখতে চাই না। পল্লবীর মৃত্যু মানেই টলিউড অবসন্ন, এমনও ভাবার কারণ নেই। সম্পর্কের টানাপড়েন, সেখান থেকে ঝগড়া সাধারণ ঘটনা। ঘরে ঘরে ঘটে। আমরা যেহেতু তারকা, তাই আমাদের জীবনে এমন ঘটলে তা প্রকাশ্যে আসে। অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কথাও শোনা যায়।’’ অভিনেত্রীর আরও বক্তব্য, অন্যান্য পেশাতেও একই ঘটনা ঘটছে। সেই খবরগুলো সংবাদমাধ্যমে জায়গা পায় না। পেলে দেখা যেত, সব পেশার ছবিটাই কমবেশি এক।

বিনোদন দুনিয়াই বলে, শিল্পী মাত্রেই অসম্ভব অনুভূতিশীল, স্পর্শকাতর। এই ধরনের মানুষদের কি পরিবার ছেড়ে আলাদা দিনযাপন অনুচিত? পরিবার পাশে থাকলে অন্তত খারাপ সময়গুলো পেরিয়ে আসতে পারবেন তাঁরা। ‘তুমি যে আমার মা’ ধারাবাহিকের নায়ক সুমন দে-ও পেশার কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় এসে একাই থাকেন। তাঁর যুক্তি, ‘‘একান্তই পেশার কারণে যদি দূরে থাকতেই হয়, তা হলেও বাড়ির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা উচিত। আমি যেমন আমার মায়ের সঙ্গে রোজ রাতে কথা বলি। ভাল-মন্দ ভাগ করে নিই। এতে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধেও হয়।’’

টলিউডের বাস্তবচিত্র কি অন্য কথা বলছে? পল্লবীর মৃত্যু কি ফের আঙুল তুলল বিনোদন জগতের অবসাদ কিংবা একলাযাপনের দিকেই? আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিলে তার সমাধানই বা কোথায়? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটলে কৌতূহলী হয়ে আমরা কিছু ক্ষণ মশগুল থাকতেই পারি। কিন্তু আর একজন পল্লবীকে কি বাঁচাতে পারি? সেটা নিয়ে কি আদৌ কিছু ভাবছি? সেটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।’’

অনুত্তমার মতে, অনেকেই এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটলে অনেক বার্তা দেন। যেগুলো জীবনের প্রতি আশাব্যঞ্জক ঠিকই, কিন্তু ওই মুহূর্তে ওই মানুষটির গোটা বিষয়টি তাত্ত্বিক বলে মনে হতে পারে। সেটা হয়তো সবার জীবনে সমান প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও তিনি বলবেন, ‘‘সুশান্ত সিংহ রাজপুত কিন্তু ‘ছিঁছোড়ে’র মতো ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন। ওই ছবি আত্মহননের বিরুদ্ধ বার্তাই দিয়েছিল। যদি তত্ত্ব দিয়েই গোটা বিষয়টি ঘটত, তা হলে ওই ছবিতে অভিনয় করার পরে সুশান্তের আত্মহত্যা করার কথা ছিল না! তাই প্রত্যেক মানুষকেই বলব, নিজের চারপাশে একটি ঘনিষ্ঠ, সুরক্ষিত বৃত্ত রচনা করা ভাল। যাতে সময়ে-অসময়ে যখন খুব খারাপ রয়েছি, সেই বৃত্তের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy