প্রতীকী চিত্র
টিকিটের দাম বাড়বে কি না, সরাসরি বলা হচ্ছে না। তবে জীবাণুমুক্ত করার খাতে খরচ বাড়তে পারে মাল্টিপ্লেক্সে। একটি সর্বভারতীয় মাল্টিপ্লেক্স গোষ্ঠীর মুখপাত্রের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনেমা-নাটকের জন্য সিনেমা হলের দরজা খুলতে বললেও বাস্তব পরিস্থিতি মেনে অন্তত ১৫ অক্টোবরের আগে ছবি দেখানো মুলতুবি থাকছে বলেই খবর। নাটকের শোয়ের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস কর্তৃপক্ষ।
টালিগঞ্জের প্রযোজক-পরিবেশক-প্রদর্শকদের সংস্থা ইম্পা-র কোষাধ্যক্ষ তথা সিনেমা হলের মালিক শান্তনু রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‘সিনেমা দেখানোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইএফও, কিউব বা ইউএমডব্লিউ ১০ অক্টোবরের আগে অফিস খুলতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এর পরে ছবি দেখানোর তোড়জোড় করতে দু’-এক দিন তো লাগবেই। তাই ১৫ অক্টোবর থেকে সিনেমার শো চালু করব। এ বিষয়ে সব হলই একমত।’’ আনলক-৫ পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৫ অক্টোবরের পরে অর্ধেক আসনের টিকিট বিক্রি করে সিনেমা হল খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে। এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ১ অক্টোবরই ৫০ জন দর্শক নিয়ে সিনেমা হল চালু করতে বলেছিলেন।
তা হলে কবে খুলবে সিনেমা হল? দক্ষিণ কলকাতার বসুশ্রী থেকে উত্তরের স্টার থিয়েটারে নতুন করে রঙের পোঁচ পড়ছে। বিভিন্ন হলে নানাবিধ মেরামতিরও ধুম। কিন্তু কবে কোন হল খুলবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রিয়া-র কর্ণধার অরিজিৎ দত্তের কথায়, ‘‘দেওয়ালিতে রিলিজ় করার আন্তর্জাতিক বা বলিউডি ছবির মুক্তি শুনছি বড়দিন পর্যন্ত পিছিয়ে গেল। তা হলে এখন শুধু বাংলা ছবির উপরে ভরসা করে হল চালানো মুশকিল।’’ অরিজিতের ব্যাখ্যা, ‘‘পুজোর সপ্তাহটা যদি শো ভাল চলেও, তার পরে বেশি দিন টানার মতো ছবি কোথায়? তখন চালু হল আবার বন্ধ রাখতে হলে অহেতুক জটিলতা বাড়বে।’’
নবীনা-র কর্ণধার নবীন চৌখানিও বলছেন, ‘‘১৫ অক্টোবরই যে হল খুলতে পারব, বলতে পারছি না। প্রথমে কিছু দিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলা ছবি এবং সাম্প্রতিক আর একটি বাংলা ছবিই রিলিজ় করার পরিকল্পনা আছে। ওই দু’টি ছবি ষষ্ঠী-সপ্তমী থেকে দেখানো গেলে তখনই হল খুলবে।’’ আইনক্স জানাচ্ছে, ১৫ অক্টোবর নাগাদ হল খুলবে। তাদের পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর অমিতাভ গুহঠাকুরতার কথায়, ‘‘বিশ্বমানের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতা থাকছে। সিনেমা দেখার সময়ে মাস্কও পরতে হবে।’’ আলাদা ভাবে কেনার জন্য মাস্ক, দস্তানা, স্যানিটাইজ়ারও থাকবে। তা ছাড়া, এমএমএসের মাধ্যমে হলে বসার জায়গা ছবি দিয়ে বোঝানো, খাবার বা পানীয় অর্ডার করা— সব কিছুরই বন্দোবস্ত থাকছে। ভিড় এড়ানোর কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা করা হবে।
থিয়েটারের বিষয়ে সরকারি হল কমিটি বা তথ্যপ্রযুক্তি দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে অ্যাকাডেমির তরফে ১১ অক্টোবর প্রথম সারির নাট্যদলগুলির সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে। অ্যাকাডেমির তরফে অছিদের চেয়ারম্যান প্রসূন মুখোপাধ্যায়, এগজিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান কল্লোল বসু জানালেন, ৭২০টির মধ্যে ২৭০-২৮০টি টিকিট বিক্রি করা যাবে। নাট্যকর্মী-সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বললেন, ‘‘আমরাও অনুরোধ করব, যদি হলের ভাড়া কিছুটা কমানো যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy