গ্লেন্ডা জ্যাকসন। ছবি—সংগৃহীত
স্বল্প অসুস্থতায় ভুগে বাড়িতেই প্রয়াত হলেন অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন। জীবনভর মঞ্চ এবং পর্দায় প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। মাঝে পেশা বদল। ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা হিসাবে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন গ্লেন্ডা। শেষ জীবনে আবার ফিরেছিলেন ভালবাসার কাছে, অভিনয়ে। তবে ব্যস্ত কর্মজীবনে দাঁড়ি পড়ল হঠাৎ, ৮৭ বছর বয়সে।
জ্যাকসনের সহকারী লিওনেল লার্নার জানিয়েছেন, লন্ডনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার স্বল্প অসুস্থতার পর মারা যান গ্লেন্ডা। সদ্য ‘দ্য গ্রেট এস্কেপার’ ছবির শুটিং শেষ করেছিলেন অভিনেত্রী। মাইকেল কেন ছিলেন তাঁর সহ-অভিনেতা। ছবির মুক্তি আর দেখে যাওয়া হল না গ্লেন্ডার।
১৯৩৬ সালে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের বিরখেনহেডে জন্ম গ্লেন্ডার। লন্ডনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্ট-এ অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬০ থেকে সত্তরের দশকের সবচেয়ে বড় ব্রিটিশ তারকাদের এক জন হয়ে উঠেছিলেন গ্লেন্ডা। পর পর দু’টি বছর অস্কার জিতেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ‘উইমেন ইন লাভ’-এর জন্য এবং ১৯৭৪ সালে ‘আ টাচ অফ ক্লাস’ ছবির জন্য এই সম্মান পেয়েছিলেন।
এর পর তিনি রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯২ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি লেবার পার্টির এক জন আইনপ্রণেতা হিসেবে ২৩ বছর অতিবাহিত করেন। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রথম সরকারে পরিবহণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের জন্য ব্লেয়ারের সঙ্গে মতবিরোধে গিয়েছিলেন গ্লেন্ডা। জাতিসংঙ্ঘের অনুমোদন ছাড়াই আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্ত তাঁকে ব্যথিত করে।
২০১৫ সালে পার্লামেন্ট ছেড়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন গ্লেন্ডা। শেক্সপিয়রের নাটক ‘কিং লিয়ার’-এ তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন নাট্যমোদীরা। বিপুল জনপ্রিয় হয় সেই প্রযোজনা। থিয়েটার ছিল গ্লেন্ডার প্রাণ। তবে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তনের পর পর্দায় এসেছিলেন একটু দেরিতেই। ২০১৯ সালে ‘এলিজাবেথ ইজ় মিসিং’-এ প্রায় তিন দশক পর গ্লেন্ডাকে দেখা গিয়েছিল। আবারও পুরস্কৃত হন ‘বাফতা’ সম্মানে।গ্লেন্ডার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিনোদন এবং রাজনীতি জগতের সহকর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy