সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
রথযাত্রা মানেই চট্টোপাধ্যায় পরিবারে ঢাকের বাদ্যি। এই দিন থেকেই তোড়জোড় শুরু দুর্গাপুজোর। প্রতি বছরের মতো এ বারেও সপরিবারে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় গঙ্গার ঘাটে। সেখান থেকে কুমোরটুলি। বিধি মেনে রথযাত্রার দিনেই কাঠামোপুজো হয় বাড়ির প্রতিমার। কেমন সেই পুজোর প্রাক-প্রস্তুতি? রীতি মেনে শুক্রবার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কুমোরটুলিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সুদীপা। আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা। গঙ্গায় জোয়ারের টান। অন্য দিনের তুলনায় সুনসান কুমোরটুলি, গঙ্গার ঘাট।
গঙ্গাজল মাথায় ঠেকিয়ে প্রথমে গঙ্গা-বন্দনা। তার পর কুমোরটুলিতে প্রবেশ। আনন্দবাজার অনলাইনকে সুদীপা জানিয়েছেন, ‘‘চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গা প্রতিমা গড়েন শিল্পী পশুপতি রুদ্র পাল। তাঁর কর্মশালাতেই এ দিন কাঠামোপুজো হয়। আমরা উপস্থিত সেখানেই। পাশাপাশি, বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথদেবের সঙ্গে বলভদ্র ও সুভদ্রার পুজোও হয়।’’ অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার বাড়ির বিশেষ রীতি, এ দিন জগন্নাথদেবকে ছাপ্পান্ন ভোগের অন্যতম ‘কণিকা ভোগ’ বা বিশেষ ভাবে বানানো মিষ্টি পোলাও দেওয়া হয়।
হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন। কুমোরটুলিতে জোর কদমে প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী, জগন্নাথদেব পুরীর রথে বসলেই বাড়ির বিগ্রহের অনুমতি নিয়ে তাঁরা কুমোরটুলির উদ্দেশে পা বাড়ান। সেখানেও কিছু বিশেষ নিয়ম মানেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। যা তাঁদের একান্ত নিজস্ব। যেমন, কাঠামো পুজোর আগে প্রথমে দেব বিশ্বকর্মার অনুমতি নেওয়া হয়। তার পর মন্ত্রোচ্চারণ করে আবাহন করা হয় মাকে। মায়ের কাঠামো পূজিত হয় মালা, ফুল দিয়ে। এর পরেই গঙ্গা নিমন্ত্রণ। সব শেষে নিজের হাতে কাঠামোয় প্রথম মাটি দেন অগ্নিদেব।
বাড়িতে জগন্নাথদেবের পুজো। কুমোরটুলিতে কাঠামো পুজোর মাধ্যমে মায়ের আবাহন। সব মিলিয়ে বাড়িতে কি ভূরিভোজের আয়োজন? সঞ্চালিকা জানিয়েছেন, পুজোবাড়ি মানেই নিরামিষ রান্না। ব্যতিক্রম এই এক দিন। এক মাত্র এই দিন সুদীপা সপরিবারে বাইরে আমিষ খান। যুক্তিও দেখিয়েছেন, বাড়িতে জগন্নাথদেবের পুজো। তাই নিরামিষ রান্না। কিন্তু দেবী দুর্গা হিন্দুশাস্ত্র মতে শিবের ঘরনি। অর্থাৎ সধবা। ‘‘দেবীর কারণেই কেউ নিরামিষ খাই না। বাইরে খাওয়া সারি,’’ বক্তব্য তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy