সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ঠিক ৯ দিন পর নিখিল জৈন এবং নুসরত জাহানের বিয়ের বয়স হত ২ বছর। ১৯ জুন ২০১৯ সালে তুরস্কে ঘটা করে বিয়ের অনুষ্ঠান করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সময় বদলাল। বদলে গেল সম্পর্কের নাম। বুধবার বিবৃতি জারি করে সাংসদ-অভিনেত্রী জানালেন, নিখিলের সঙ্গে আদৌ তাঁর বিয়ে হয়নি। কারণ তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান তুরস্কের আইন অনুযায়ী অবৈধ। নিজের নামের পাশে এক সময় ‘জৈন’ জুড়ে নেওয়ার পরেও নিখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে ‘সহবাস’-এর তকমা দিয়েছেন নুসরত।
স্বাভাবিক ভাবেই নেটমাধ্যমে ট্রোলিং, কটাক্ষে ঘৃতাহুতি করেছে নুসরতের এই বিবৃতি। সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের পাতায়। প্রথমটি থেকে ইতিমধ্যেই ‘সহবাস সঙ্গী’ নিখিলের সঙ্গে সব ছবি সরিয়ে দিয়েছেন নুসরত। তবে দ্বিতীয়টিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে ‘বিয়ে’ থেকে শুরু করে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একাধিক ছবি। সেখানে গিয়েই নিজেদের রাগ, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটাগরিকদের একাংশ। কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন ব্যঙ্গের সুরে। সেই কারণেই প্রায় ২ বছর আগে পোস্ট হওয়া তুরস্কে তাঁদের ‘বিয়ে’-র অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো নতুন করে ঘুরপাক খাচ্ছে নেটমাধ্যমে। কেউ লিখেছেন, ‘এত খরচ করে লিভ ইন। আমরা তা হলে বোকা হলাম ২ বছর ধরে।’ অন্য একজনের কথায়, ‘একদিন আমিও বড়লোক হব আর এমন খরচা করে সেজেগুজে লিভ ইন করব।’
তুরস্ক থেকে ফিরে কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে বৌভাতের আয়োজন করেছিলেন নুসরত এবং নিখিল। পুরো ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সেখানে তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই সময়কার একাধিক ছবিও কার্যত ট্রোল, মিমের খোরাক জোগাচ্ছে নেটাগরিকদের।
এক সময় নিখিলের বস্ত্র বিপণির মুখ হয়ে উঠেছিলেন নুসরত। সেই ছবি এখনও সযত্নে সাজানো তাঁর ফেসবুকের দেওয়ালে। ‘সহবাস’ সঙ্গী নিখিলের সঙ্গে নুসরতের হাসিমুখ জ্বলজ্বল করছে সেখানে। ছবির উপরের অংশে লেখা, ‘আমি আসছি, সঙ্গে জামাই। জমাতে আসর শালিদের চাই।’ এই ছবিও চোখ এড়িয়ে যায়নি নেটাগরিকদের। সহবাসই যদি করে থাকেন তবে সিঁথিতে সিঁদুর পরে নিখিলকে জামাই বলেছিলেন কেন? একের পর এক প্রশ্নবাণে জেরবার করার চেষ্টা সাংসদ অভিনেত্রীকে।
নুসরত একটি বিবৃতির মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করলেও নেটাগরিকরা তাতে সন্তুষ্ট নন। তাঁদের মনে জমা হয়েছে অনেক প্রশ্ন।
বছর দুয়েক আগে বিয়ের ভিডিয়ো পোস্ট করে নুসরত লিখেছিলেন, ‘টুওয়ার্ডস আ হ্যাপিলি এভার আফটার’। অর্থাৎ নিখিলের সঙ্গে সারা জীবন ভালবাসায় কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী। তবে জীবন যে কোনও অঙ্ক মেনে চলে না, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি নিজেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy