লোকে যত বার বলত ‘নকল’, তত বারই শুধরে দিতেন ‘শের-ই-কাওয়ালি’
অনেকে বলেন বলিউডের কয়েক দশকের জনপ্রিয় সুরকার অনু মালিক কিংবা বিজু সাহা হুবহু সুর নকল করেছেন তাঁর। শুধু তাঁরাই নন, অনেক সুরস্রষ্টাই বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানি ওস্তাদের কাছে ঋণী হয়েছেন। নুসরতও কি সে কথা জানতেন না?বিজুর 'তু চিজ বড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত' কিংবা অনুর 'মেরা পিয়া ঘর আয়া' শুনে নব্বইয়ের দশকে তারিফ করেছিলেন স্বয়ং নুসরত আলি খান। লোকে যত বার বলত 'নকল', তত বারই শুধরে দিতেন নুসরত।
মৃত্যুর ঠিক আগে আগে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "খুব ভাল কাজ করেছেন অনু আর বিজু। ভাল লেগেছে আমার। যদি আমার করা সুর ওঁদের ভাল লেগে থাকে সেটাও খুব ভাল ভাবে প্রয়োগ করেছেন।"
মানুষটাই ছিলেন এমন। নির্ভেজাল, শিল্পরসে ভরপুর। ভক্তরা আজও তাঁর কথা ভেবে চোখের জল ফেলেন। ইনস্টাগ্রামে হঠাৎই প্রয়াত সঙ্গীত তারকার একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি ভারতীয় সুরকারদের প্রশংসা করছেন। সেই পোস্টের নীচে ভালবাসা উজাড় করে দিলেন ভক্তরা। কেউ লিখেছেন, 'মনের সৌন্দর্যই মানুষকে অমর করে।' আর এক জন লিখলেন 'ওঁর সঙ্গীত আমায় শান্তি দেয়। উনি পৃথিবীতে নেই তবু উপহারগুলো রেখে গিয়েছেন।'
পাকিস্তানি কাওয়ালি সঙ্গীতের ভক্ত গোটা দুনিয়া। সেই মায়াজাল প্রথম বিছিয়েছিলেন প্রয়াত পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী নুসরত ফতে আলি খান।
তাঁর মৃত্যুদিনও এসে পড়ল। ১৬ অগস্ট, ১৯৯৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। বর্তমানে ভাইপো রহত ফতেহ আলি খান জনপ্রিয় সঙ্গীত-তারকা হিসেবে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যেই সেতু বেঁধে চলেছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy