কেকে।
গায়ক কেকে-র মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতিতে হয়নি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। মঙ্গলবার রাতে কেকে-র মৃত্যুর পর বুধবার সকালেই ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল নিউ মার্কেট থানায়। কারণ, কেকে-র মৃত্যু সম্ভবত হয়েছিল ধর্মতলার হোটেলে বা সেখান থেকে বেরোবার পরেই। ওই হোটেল থেকেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ, হাসপাতালে যাওয়ার পথেই বা হাসপাতাল-যাত্রা শুরুর আগেই কেকে-র মৃত্যু হয়। যা ময়নাতদন্তের বিশদ রিপোর্টে জানা যাবে। যাতে মৃত্যুর সময় ইত্যাদি আরও ঠিকঠাক জানা যাবে।
তবে মামলা রুজু হওয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্ত চলতে চলতেই ওই হোটেলে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) রূপেশ কুমার এবং জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) মুরলিধর শর্মা। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন নিউ মার্কেট থানার অফিসাররা এবং গোয়েন্দা পুলিশের বৈজ্ঞানিক শাখা এবং ফরেন্সিক দলের অফিসারেরা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশ অফিসারেরা হোটেলে কেকে-র ঘর থেকে তাঁর ব্যবহৃত রুমাল সংগ্রহ করেছেন। সেটি এখন পরীক্ষা করে দেখা হবে। পাশাপাশিই চলবে ময়নাতদন্তের বিশদ এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির কাজও। সেই রিপোর্ট পেতে পেতে অন্তত আরও ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তার পরেই নিশ্চিত এবং সরকারি ভাবে ভাবে বিষয়টি বলা হবে।নিয়ম মোতাবেক কেকে-র দেহের ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে। সেটিও ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, কেকে অসুস্থ হয়ে হোটেলের ঘরের সোফায় বসতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর কপাল এবং থুতনিতে চোট লাগে। রক্তপাতও হয়। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। কিন্তু দেহে ক্ষতচিহ্ন থাকায় কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্তও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশিই দায়ের করা হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy