রাত পোহালেই নারী দিবস। তাঁরা তিন নারী একসঙ্গে একে অপরের ঢাল হয়ে রয়েছেন যেন। দুই কন্যা সারা ও জ়ারা, তাঁদের ছাতা হয়ে আছেন মা নীলাঞ্জনা শর্মা। মেয়ে সারার জীবনে নয়া মোড়। ১৮ পার হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক পোশাক বিপণির হয়ে হেঁটেছেন মার্জার সরণিতে। এ বার ফের দেশ জুড়ে পোশাক বিপণির হোর্ডিং-এ ছেয়ে গেলেন নীলাঞ্জনা-কন্যা । মেয়ের সাফল্যে খুশি মা। তবে মেয়েকে দশভুজা বানাতে নারাজ। বরং মেয়েকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চান এবং চান সমাজ নয়, মেয়েদের ভালমন্দ তাঁরা নিজেরাই বুঝে নিন।
আরও পড়ুন:
জীবনের নানা পর্যায়ে মেয়েদের নানা ভূমিকায় দেখা যায়। আর তাতেই যেন একটা বাড়তি চাপের বোঝা নিয়ে নেন তাঁরা, মত নীলাঞ্জনার। কিন্তু নিজের দুই মেয়েকে সেই বোঝার তলায় রাখতে চান না। আনন্দবাজার ডট কমকে নীলাঞ্জনা বলেন, “আসলে ওরা না বলতে জানে। হয়তো আমরা পারিনি কিন্তু সারা-জ়ারাদের প্রজন্ম জানে ওরা কতটা পারবে। অহেতুক চাপ ওরা চায় না। আমিও চাই না দশভুজা হওয়ার চাপ নিক ওরা। দায়িত্ব ততটাই নিক যতটা মন থেকে সম্মতি দেবে।” যদিও মেয়ের সাফল্যের সিকি ভাগ কৃতিত্ব নিজে নিতে নারাজ নীলাঞ্জনা। এখনও পর্যন্ত যা করেছেন, তিনি নিজেই করেছেন। এই মুহূর্তে নিজের শুটের কাজে মুম্বইয়ে আছেন সারা। সঙ্গে যেতে পারেননি, কারণ আর এক মেয়ে জ়ারার পরীক্ষা। পাশাপাশি নিজের কাজে ব্যস্ত তিনি। যদিও মেয়ে সারা খুবই বাধ্য, নীলাঞ্জনার কথায়,”শুটের পর কোথাও গেলে সেখান থেকে লোকেশন পাঠিয়ে দেয়। আসলে ও বাধ্য মেয়ে।” অল্প বয়স থেকেই নিজে উপার্জন করছেন। মেয়ে সারাও মায়ের দেখানো পথে হাঁটছেন। তাই নীলাঞ্জনা এখন থেকেই মেয়েকে সঞ্চয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নীলাঞ্জনার কথায়, “আমরাও ছোটবেলায় হাতখরচ পাইনি।আমার মেয়েরাও পায় না। তাই ছোটবেলা থেকেই শিখিয়েছি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই একটা স্বাধীনতা মানুষকে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে সাহায্য করে। তাই সারাকে বলি টাকা জমিয়ে রেখো।” প্রথাগত কোনও প্রশিক্ষণ ও সাহায্য ছাড়াই তাঁর কন্যা যে এত দূর এগিয়েছেন, তাতে গর্বিত নীলাঞ্জনা।