বিচ্ছেদের গুঞ্জনে জল ঢাললেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “যেমন ছিলাম তেমনই আছি। সবটাই আপনাদের কল্পনা।” নীল ভট্টাচার্য-তৃণা সাহা। যত বার তাঁদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছে তত বারই তাঁরা এ ভাবে নিন্দকদের কড়া জবাব দিয়েছেন। এ দিন তাঁরা একটি জার্সি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে প্রকাশ্যে তৃণাকে আলিঙ্গন করেন নীল। স্বামীর বাহুডোরে ধরা দিয়ে খুশি অভিনেত্রীও। ভালবাসার উষ্ণতা বুঝি ছড়িয়ে গেল তাঁর দুই গালে। সেখানে লজ্জার লালচে আভা আর হাসি মিলেমিশে একাকার। তিনিও জানালেন, এ ভাবেই যেন আজীবন একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারেন।
মধুরেণ সমাপয়েৎ দেখে স্বস্তিতে দুই অভিনেতার অনুরাগীরাও। একাধিক বার অভিনেতা দম্পতির বিচ্ছেদের রটনায় তাঁরা শঙ্কিত।
কী ভাবে নতুন করে বিচ্ছেদের জল্পনার সূত্রপাত? জানেন না নীল-তৃণা কেউই। দিন দুয়েক আগে তৃণা আনন্দবাজার ডট কমকে শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে জানিয়েছিলেন, সব মিথ্যে, সবটাই ভুয়ো। অনুযোগ ছিল তাঁর, “নতুন ধারাবাহিকের শুটিং করছি। এত ব্যস্ততার মধ্যে এই বিষয়ে বিশদ কথা বলা মুশকিল।” প্রসঙ্গত, শিবরাত্রির দিন তৃণাকে ব্রত পালন করতেও দেখা যায়। শাঁখা-পলা-সিঁদুরে সেজে অভিনেত্রী বাকি হিন্দু নারীর মতোই এ দিন উদ্যাপন করেছেন।
আরও পড়ুন:
একই ভাবে নীল ব্যস্ত তাঁর ‘অমর সঙ্গী’ ধারাবাহিক নিয়ে। এই ধারাবাহিকে তাঁর বিপরীতে শ্যামৌপ্তি মুদলী। শুধু সাম্প্রতিক গুঞ্জন নয়, বিয়ের ছ’মাস পর থেকেই নীল-তৃণার বিচ্ছেদ নিয়ে নানা আলোচনা, কেন?
এই উত্তরও নেই তাঁদের কাছে। দু’জনেই এর আগে একাধিক বার জানিয়েছেন, তাঁরা সম্পর্কে ‘স্পেস’ দিতে ভালবাসেন। বিয়ে হয়েছে মানেই সারা ক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে থাকতে হবে— এমনটা একেবারেই মনে করেন না। তাঁরা আগে ভাল বন্ধু, তার পর দম্পতি। সেই ধারা বজায় রেখেই যেমন একসঙ্গে কাজ করেন, সময় কাটান তেমনই নিজেদের মতো করেও থাকতে ভালবাসেন। তাই হয়তো তাঁদের জীবনচর্যা নিয়ে এত চর্চা।