সৃজিত ও তুহিনা
আবার নাকি প্রেমে পড়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়! লাইনটুকু পড়েই পাঠক নিশ্চয়ই মুচকি হাসছেন? আগেভাগেই বলে রাখি, এ বার কেস কিঞ্চিৎ সিরিয়াস। পরিচালক যে অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু, তাঁর বয়স কুড়ির কোঠার গোড়ার দিকে। তবে বয়স আবার কবেই বা প্রেমকে হারাতে পেরেছে! অভিনেত্রীর নাম তুহিনা দাস। তিনি নবাগতা। ‘আসছে আবার শবর’ এবং ‘এক যে ছিল রাজা’তে দর্শক তাঁকে দেখেছেন।
কোঁকড়া চুলের, শ্যামাঙ্গী নায়িকা গোড়া থেকেই নজর কেড়েছেন। নিঃসন্দেহে সকলে স্বীকার করেছেন, তুহিনার মধ্যে একটা ভিনদেশি সৌন্দর্য আছে, যা বাঙালি অভিনেত্রীদের মধ্যে সচরাচর দেখা যায় না। অপর্ণা সেনের ‘ঘরে বাইরে আজ’-এ বিমলার চরিত্র তুহিনার জন্য প্রথম বড় ব্রেক। এই ছবির হাত ধরেও সৃজিত-তুহিনার কাছাকাছি আসা। অপর্ণার ছবিতে তুহিনাকে সাজেস্ট করেন সৃজিতই। সেই সঙ্গে শহরের প্রভাবশালী প্রযোজকের অফিসে উভয়ের যাতায়াতের সূত্রেও ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। তবে সৃজিতের প্রেম সম্পর্কে বলতেই হয়, এ ব্যাপারে তাঁর বিশেষ লুকোছাপা কোনও দিনই নেই। ব্যতিক্রম এ বার। কিন্তু কেন?
এ সম্পর্কের তৃতীয় একটি কোণও রয়েছে! তাতে নাকি রয়েছেন অরিন্দম শীল। ইন্ডাস্ট্রিতে তুহিনাকে প্রথম ব্রেক তিনিই দেন এবং অরিন্দমই ছিলেন তাঁর মেন্টর। এ অবস্থায় অরিন্দমেরই প্রতিদ্বন্দ্বী পরিচালকের সঙ্গে তুহিনার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা কি তিনি আর ভাল চোখে দেখতে পারেন! সেটা বোধ হয় তুহিনাও বুঝেছেন। তাই কি এত লুকোচুরি?
তুহিনাকে ফোন করা হলে তিনি একচোট হেসে বলেন, ‘‘আমি এখন কলকাতায় ছবির ডাবিং করছি। আর আমরা একদমই প্রেম করছি না। সৃজিতদা শুধু আমার ভাল বন্ধু।’’
সৃজিত গতকালই গোয়া থেকে কলকাতায় ফিরেছেন। তাঁর অবশ্য জবাব, ‘‘না না, আমি ডেট করছি না। আর ডেট করা তো গর্বের ব্যাপার। আমি নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত।’’ তবে তাঁরা যা-ই বলুন, রটনার কিছু তো ঘটনাও বটে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy