Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Aryan Khan

Aryan: মাদক ষড়যন্ত্রে যুক্ত নন আরিয়ান, দাবি নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর

তদন্তকারী দলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, আরিয়ান মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি নিজেও মাদক নিতেন না!

আরিয়ান খান

আরিয়ান খান

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২২ ১০:৫৯
Share: Save:

অবশেষে কলঙ্কিত অধ্যায় মুছতে চলেছে আরিয়ান খানের জীবন থেকে! মাদক মামলা বা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নন শাহরুখ খানে ছেলে। বুধবার এমনই ঘোষণা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি)র একটি তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরিয়ান যে মাদক নেওয়া বা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই। দলের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে প্রমোদতরী অভিযানে অভিনেতা-পুত্রকে গ্রেফতারের পিছনেও অনেক ফাঁক চোখে পড়েছে তাঁদের।

জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তদন্তকারী দলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, আরিয়ান মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি নিজেও মাদক নিতেন না! তাই, কী কারণে তাঁর মোবাইল ফোন আটক করা হয়েছিল, কেনই বা ফোনের বার্তা দেখা হয়েছিল--- তাঁরা তদন্তে নেমে বুঝতেই পারেননি। কারণ, অভিনেতা-পুত্রের কোনও বাক্যালাপে মাদক সম্বন্ধীয় কোনও তথ্যের উল্লেখ নেই। তাঁদের আরও দাবি, এনসিবি-র থেকে যে অভিযান চালানো হয়েছিল তারও কোনও ভিডিয়ো রেকর্ডিং নেই। অর্থাৎ, মামলায় গ্রেফতার একাধিক আসামির থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে, এমনটাও দেখাতে পারবে না সংস্থা।

যদিও চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করার আগে তদন্তকারী দল আরও এক বার গোটা বিষয় খুঁটিয়ে দেখবে বলে খবর। তার পর তদন্তকারী অফিসারেরা এনসিবি-র শীর্ষপ্রধান এস এন প্রধানের হাতে তাঁদের যাবতীয় তথ্য জমা দেবেন। ফলে, পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। তখনই জানা যাবে, আরিয়ান আদৌ অপরাধী কিনা। প্রমোদতরী অভিযান, তদন্তের ফাঁকের পাশাপাশি সিট প্রশ্ন তুলতে চলেছে ব্যুরোর প্রাক্তন মুম্বই আঞ্চলিক দলের পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ের আচরণ নিয়েও। অভিযান এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক বার ওয়াংখেড়েকে ফিরিয়ে এনে প্রশ্নও করেছে সিট এবং এনসিবি ভিজিল্যান্স দফতর।

ওয়াংখেড়ে গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বইয়ের গ্রিন গেটে আন্তর্জাতিক জাহাজ বন্দর থেকে কর্ডেলিয়া নামের প্রমোদ তরীতে অভিযান চালান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনসিবি-র এক দল অফিসার। এবং কিছু প্রত্যক্ষদর্শী। ওই জাহাজে অভিযান চালিয়ে ১৩ গ্রাম কোকেন, পাঁচ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম মারিজুয়ানা, ২২টি মাদক বড়ি এবং ১.৩৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। যদিও সিটের করা তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল বলছে, বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৮ অক্টোবর শাহরুখ-পুত্রকে জামিন দেওয়ার সময় আরিয়ান সম্বন্ধে ‘বেকসুর খালাস’ বাক্যবন্ধ ব্যবহার করা হয়েছিল। যার অর্থ, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বা মাদক পাচারের কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Aryan Khan drug case Shah Rukh Khan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE