ওটিটিতে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিলেন নওয়াজ।
‘সেক্রেড গেমস’ থেকে ‘রাত অকেলি হ্যায়’। কিংবা ‘সিরিয়াস মেন’। সাড়া জাগানো সব ওয়েব সিরিজ তাঁর ঝুলিতে। এ বার ওটিটি থেকে বিদায় নিচ্ছেন সেই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিই! কারণ, বিনোদনের এই নয়া মাধ্যমের প্রতিই বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন ‘ফয়জল খান’। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’-এর অভিনেতার দাবি, ওটিটি এখন ‘আবর্জনা ফেলার জায়গা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেন এ কথা বলছেন নওয়াজ?
‘সেক্রেড গেমস’-এর ‘গণেশ গায়তোণ্ডে’র বক্তব্য— অপ্রয়োজনীয় ছবি, ওয়েব সিরিজে ভরে উঠছে ওটিটি মঞ্চ। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ওটিটি ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান নওয়াজ। তাঁর কথায়, ‘‘এ রকম কিছু ছবি বা ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে ওটিটি-তে, যা বানানোই উচিত হয়নি। অথবা এমন কিছু সিক্যুয়েল বা সিজন তৈরি হয়েছে, যেখানে নতুন করে কিছু বলার-ই নেই।’’
বিনোদন-মাধ্যম হিসেবে ওটিটি-র যাত্রা শুরুর প্রথম দিকে অনুরাগীদের একাধিক ছবি এবং ওয়েব সিরিজ উপহার দিয়েছেন এই নওয়াজই। নেটফ্লিক্সের ‘সেক্রেড গেমস’ নিয়ে কম মাতামাতি হয়নি ২০১৮ সালে। তার পর নেটফ্লিক্সেই ‘সিরিয়াস মেন’, ‘রাত অকেলি হ্যায়’-তে অভিনয় করেছেন নওয়াজ। জনপ্রিয়ও হয়েছে তাঁর কাজ।
নওয়াজ বলছেন, ‘‘যখন ‘সেক্রেড গেমস’ করেছিলাম, ওটিটি মঞ্চ নিয়ে রোমাঞ্চ কাজ করত। নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া হত, কিন্তু সে সবের বালাই নেই আর। কোনও কাজে নতুনত্ব নেই। তথাকথিত তারকাদের এবং প্রযোজনা সংস্থার কাছে ওটিটি এখন ব্যবসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অজস্র ছবি বা সিরিজ মুক্তি পাচ্ছে। আর তার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা পাচ্ছেন প্রযোজকরা। সংখ্যার দিকে তাকাতে গিয়ে মান নেমে যাচ্ছে।’’ নওয়াজের মতে, তারকা-কেন্দ্রিক হয়ে ওঠাই ইন্ডাস্ট্রির বড় পর্দাকে নষ্ট করেছে। এ বার সেই পথে হাঁটছে ওটিটি-ও। তাঁর কথায়, ‘‘ওটিটি তারকাদের আচরণ বড় পর্দার তারকাদের মতোই হয়ে গিয়েছে। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, নায়ক বা নায়িকা নন, ওটিটি-তে বিষয়বস্তুই রাজা।’’
ওটিটিতে কাজ না করার সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে নওয়াজ বলেন, ‘‘যে সব কাজ আমি চোখে দেখতে পারি না, তাতে নিজেকে আর দেখব কী করে?’’
বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চেনা ছক ভেঙে বেরোয় না ওয়েব সিরিজের বিষয়বস্তু— মাঝেসাঝেই এমন অভিযোগ করেন দর্শকেরা। সম্প্রতি ছক ভাঙা কাহিনিতে ‘উরিবাবা’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘বিরহী’। তাতে অন্য রকম বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ার নেপথ্যেও কি নওয়াজের মতোই ধারণা?
‘বিরহী’র পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘বাংলা ওয়েব সিরিজ সে ভাবে দেখিনি। তাই বিচার করা উচিত নয়। কিন্তু না দেখাটাও সচেতন সিদ্ধান্ত। হয়তো কোনও সিরিজ ৫ মিনিট দেখেছি বা ট্রেলার দেখেছি। তার পর বুঝে গিয়েছি যে দেখতে পারব না বাকিটা। আমার মনে হয়, ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়।’’
আর তুলনায় অনামী ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়ার কারণ?
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের বক্তব্য, ‘‘চেয়েছিলাম এমন একটা ওটিটি-তে কাজ করতে, যারা আমার উপর নজরদারি চালাবে না। কাজ করতে দেবে। ‘উরি বাবা’ সেটা দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy