খুব শীঘ্র এনএফডিসি তাঁদের নিজস্ব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আনতে চলেছে। ছবি: সংগৃহীত।
ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল না মেলাতে পেরে বিগত কয়েক বছরে এনএফডিসি (ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন) কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। তবে এ বার সময়ের দাবি মেনে নিজেদের নতুন মোড়কে হাজির করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই নিগম।
খুব শীঘ্র এনএফডিসি তাঁদের নিজস্ব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আনতে চলেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের সেক্রেটারি অপূর্ব চন্দ্র বলেন, ‘‘অতীত ভুলে আমাদের সামনের দিকে তাকানো উচিত। এরই পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসতে চলেছি।’’
১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু করার পর প্রায় তিনশো ছবি প্রযোজনা করেছে এনএফডিসি। রিচার্ড অ্যাটেনবরো পরিচালিত ‘গান্ধী’ (১৯৮২) বা ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ (১৯৮৩) এর মতো ছবির প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত ছিল এনএফডিসি। আগামী দিনে ফের তারা ছবি প্রযোজনায় ফিরতে চাইছে। অপূর্ব বলেন, ‘‘নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতা, যাঁদের সঙ্গে ফিল্ম বাজারের দূরত্ব রয়েছে, আমাদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’’
দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতীয় সিনেমা সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এনএফডিসি। সেই প্রসঙ্গে অপূর্ব জানান, ইতিমধ্যেই পুণেতে সরকার সিনেমা সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের সিনেমাটোগ্রাফ আইনেও নতুন বদল আনতে চলেছে সরকার। সেখানে অনলাইনে পাইরেসি ঠেকাতে নতুন নির্দেশাবলিও আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওটিটি কনটেন্টে কটু ভাষার ব্যবহার নিয়েও তাঁরা চিন্তাভাবনা করছেন।
বিগত কয়েক বছরে অ্যানিমেশন এবং ডিজিটাল গেমিংয়ের জগতে প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। তাই আগামী দিনে এনএফডিসি দেশের বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রতিভার সন্ধান করে ছাত্রছাত্রীদের এই ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে। মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটিতে ২০ একর জমির উপর ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছর কেন্দ্রটির উদ্বোধন হবে। বিগত ৩৫ বছরে পরিকাঠামোগত দিক থেকে মুম্বই ফিল্ম সিটির বিশেষ একটা উন্নতি হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy