নাসিরের কথায়, দক্ষিণের বাণিজ্যিক ছবিগুলি রুচির দিক থেকে হয়তো অনেক সময় বোকা বোকা লাগে, কিন্তু উপস্থাপনা অনবদ্য। —ফাইল চিত্র
যে কোনও বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না নাসিরউদ্দিন শাহ। অনেক সময় তা নিয়ে বিতর্ক হয়, কিন্তু তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত হন না। ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা স্পষ্ট জানালেন, দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্যিক ছবির বড় জোরের জায়গা তার মৌলিকত্ব। অধিকাংশ হিন্দি ছবির তুলনায় দক্ষিণী ছবিতে ভাল কাজ হচ্ছে বলেই মনে করেন ‘মাসুম’ অভিনেতা।
তাঁর মতে, দক্ষিণী ছবির অভিনেতারা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের উদ্ভাবনী শক্তি দেখানোর সুযোগ পান। সেই কারণেই তাঁরা ধারাবাহিক ভাবে সফল হন। দক্ষিণী ছবির নির্মাতাদেরও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নাসিরউদ্দিন। তাঁদের কল্পনাশক্তির তারিফ করেছেন অভিনেতা। এমনকি, গানের দৃশ্যগুলি তাঁরা যে ভাবে শুট করেন, যে ভাবে সেগুলি প্রদর্শন করেন, তার প্রশংসাতেও মুক্তকণ্ঠ অভিনেতা।
নাসিরের কথায়, “দক্ষিণের বাণিজ্যিক ছবিগুলিতেও কল্পনাশক্তির প্রকাশ দেখি। রুচির দিক থেকে হয়তো অনেক সময় বোকা বোকা লাগে, কিন্তু উপস্থাপনা সব সময় অনবদ্য। অনেক দিন ধরেই এটা দেখছি।”
জিতেন্দ্র-শ্রীদেবী অভিনীত অতি সাধারণ ছবিতেও মৌলিক ভাবনার অভাব পাননি অভিনেতা। নাসিরউদ্দিনকে দেখা যাবে জি ফাইভের ‘তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাড’ সিরিজ়ে, আকবরের ভূমিকায়। প্রায় পঞ্চাশ বছর অভিনয় জগতে আছেন নাসির। তাঁর মতে, সিনেমা হলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
অভিনেতার কথায়, “চাই বা না চাই, ওটিটি-ই ভবিষ্যৎ। সারা পৃথিবী জুড়েই দশ বছরের মধ্যে সিনেমা হল উঠে যাবে। ছবি দেখা নিভৃত একটা অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। জানি না, এটা ভাল না মন্দ।” তবে, রক্তক্ষয়ী, প্রতিশোধমূলক কাহিনি বাড়িতে শিশুদের নিয়ে সকলের সঙ্গে বসে ওটিটিতে দেখা কতটা সম্ভব,তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অভিনেতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy