প্রথম আলাপেই নিহিত ছিল সৃষ্টির বীজ!
একসঙ্গে কাজ করতে করতে ভাবনাগুলোও যেন এক সুতোয় গাঁথা হয়ে যায়। এক জন হাঁ করলে অন্য জন ঠিক বুঝে যান, কী বলতে চাইছেন। যেমনটি হয়েছে পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের। দু’জনে দুই প্রান্তে থাকলেও তাঁদের কাজ বাজবে একই সুরে। কিন্তু কী ভাবে সম্ভব এমন রসায়ন?
নতুন ছবি ‘বেলাশুরু’-র মুক্তির আগে আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে মনের আগল খুললেন পরিচালক-জুটি। জানালেন, প্রথম আলাপ থেকেই জমাট বেঁধেছে বন্ধুত্ব। আর তার পর বৃষ্টি নেমেছে। একের পর এক সৃষ্টির। যা এখনও বাংলা ছবির জগৎকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
শুরুটা অবশ্য ঘাত-প্রতিঘাতের পথ ধরেই। শিবপ্রসাদ তখন ‘নান্দীকার’-এ। চুটিয়ে থিয়েটার করেন। পরিচিত মুখ। সেই সুবাদে পর্দায় প্রবেশ। ‘একুশে পা’ ধারাবাহিকে শিবপ্রসাদের অভিনয় দেখে মনে ধরেছিল মুম্বই-নিবাসী নন্দিতার। তখনই ‘জামাই নম্বর ১’ ছবিতে শিবুকে নায়ক করার ভাবনা মাথায় আসে। সবাই মিলে শ্যুট করতে পৌঁছে যান রামোজি ফিল্ম সিটি।
লাইভ আড্ডায় সে গল্প উঠতেই শিবপ্রসাদ খানিক লাজুক। হাসতে হাসতে জানালেন, তখন সিগারেট খেতেন। একটু আধটু পানীয়ও চলত। সকালে কাজ শেষ করে সন্ধের দিকে একটু বিয়ারে চুমুক দিয়েছেন, ব্যস! নন্দিতা হাজির। কেবল বললেন, ‘‘বিয়ার আর সিগারেটের দামটা কিন্তু ইউনিট দেবে না!’’ এবং প্রস্থান।
শিবু তখন তাজ্জব। ভাবছেন, দূর! কেন যে এই ছবিতে কাজ করতে এলেন! বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। কে জানত, সেই ধমকই বেঁধে ফেলবে তাঁকে! এমনই মিঠে-কড়া শাসনে বাউন্ডুলে, উদ্ধত ছোট্ট ভাইটিকে নাকি নিয়মে এনেছিলেন নন্দিতা। আর তার পর? বেড়ে উঠেছেন একসঙ্গে।
বাকিটা এক ভাবনায় এক পথে এগোতে চাওয়ার সাধ। একসঙ্গে পথচলা। যে চলার পথে মণিমুক্তো হয়ে থাকছে তাঁদের যুগলবন্দির সৃষ্টি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy