সইফের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে একাধিক দুষ্কৃতীযোগ দেখছে মুম্বই পুলিশ। সংগৃহীত।
২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সইফ আলি খানের হামলাকারী মহম্মদ শরিফুলকে পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন মঞ্জুর করেছে বান্দ্রা আদালত। পাশাপাশি উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি বলছে, পটৌদী পরিবারে ডাকাতির ছক সম্ভবত একা শরিফুলের ছিল না। নেপথ্যে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, কেবল শরিফুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশি অনুমান, তাঁকে ডাকাতি করার জন্য পাঠানো হয়েছিল অভিনেতার ১১ তলার বাসভবনে। পুলিশের দাবি, এ বিষয়ে শরিফুলকে লাগাতার জেরা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে সন্তুষ্ট আদালত। পাশাপাশি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, এই ধরনের অপরাধ দায়রা আদালতে বিচারের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কী কী সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে পুলিশ, সে কথাও এ দিন আদালতকে সবিস্তার জানানো হয়। যেমন, মুম্বই প্রশাসনের দাবি, কোথা থেকে ধারালো ছুরিটি পেয়েছিলেন সে কথা কিছুতেই জানাচ্ছেন না শরিফুল। ফলে, ধারালো অস্ত্রটি তিনি নিজে কিনেছিলেন, না কি কেউ তাঁকে সরবহার করেছিল— এই নিয়ে ধন্দ রয়েই গিয়েছে। প্রশাসন সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে সন্দেহভাজনের মুখের সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে কি না সেই পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে। এই কারণেই পুলিশি হেফাজত বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছিল, বক্তব্য মুম্বই পুলিশের। এ ছাড়াও, সে দিন অপরাধীর ব্যবহৃত জুতোর হদিশও মেলেনি।
তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই অভিযোগকারী, অভিযুক্ত, বাকি সাক্ষীদের পোশাক, রক্তের নমুনা, হাতের ছাপ— ফরেন্সিক তদন্তের জন্য গবেষণাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করেছে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র, শরিফুলের পোশাক, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, উড়নি এবং একটি ব্যাগ। এর মধ্যে অপরাধীর জুতো, অস্ত্রের উৎস শনাক্ত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy