Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
2017 Durga Puja Special

এ কি ডামাডোল রে বাবা! দুগ্গার চক্ষু কপালে

বছরে এক বারই বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা হয় দুর্গার। জিয়া নস্টাল তো হবেই। আর পুজোর ক’দিন বাপের বাড়ির পাড়াশুদ্ধু সবাই যা মাঞ্জা মারে, তাই দেখে মায়েরও শখ হয়েছিল।

দুর্গা ও অসুরের খুনসুটি। ছবি: অনির্বাণ সাহা।

দুর্গা ও অসুরের খুনসুটি। ছবি: অনির্বাণ সাহা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:৩৫
Share: Save:

দুর্গা এসেছেন বাপের বাড়ি। মাত্র দিন চারেকের জন্য তাঁর এ চত্বরে আসা। সঙ্গে ফুল ফ্যামিলি। ফিনান্স মিনিস্টার লক্ষ্মী আছেন। বিদ্যেধরী সরস্বতী আছেন। ইয়ং ব্যাচেলার কার্তিক হাজির। সঙ্গে ফুডি গণশাও।

বছরে এক বারই বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা হয় দুর্গার। জিয়া নস্টাল তো হবেই। আর পুজোর ক’দিন বাপের বাড়ির পাড়াশুদ্ধু সবাই যা মাঞ্জা মারে, তাই দেখে মায়েরও শখ হয়েছিল। সে জন্য সপরিবারে হাজির হয়েছিলেন জাভেদ হাবিবের পার্লারে। সেখানে কেউ ফেসপ্যাক মেখে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, কেউ বা আয়নার সামনে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন লাস্ট মিনিট মেকআপ। বাহনরাও বাদ যায়নি। দেব-দেবীদের সঙ্গে তাদেরও পার্লার ভ্রমণ হয়। সিংহের ওপর বসে খোদ দুর্গা মনিটর করছিলেন সব কিছু…।

এমন সময়… প্রায় রবি ঠাকুরের ‘হা রে রে রে রে রে’র মতোই রব উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে। জাভেদ হাবিবের পার্লারে দেবী দুর্গা!!! এ কী ন্যায্য কথা হল কর্তা? দুর্গাকে এত খেলো করে দেওয়া কি ঠিক? উচ্চরবে তর্ক জুড়লেন সোশ্যাল বোদ্ধারা। প্রবল ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইলেন জাভেদ হাবিব। হাতজোড় করে বললেন, ‘ভুল হয়ে গিয়েছে। আমার ধর্ম শুধু কাঁচি। অন্য কোনও ধর্মে আমার বিশ্বাস নেই।’

জাভেদের স্বীকারোক্তি তথা ক্ষমাপ্রার্থনার পরও দু’ভাগ হল জনতা। একদল তেড়ে উঠেলেন, হাবিব কেন ক্ষমা চাইলেন? আর একদল মনে মনে ভাবলেন, হুঁ হুঁ বাওয়া… মর্ত্যলোকে এ সব চলবে না।

কিন্তু দুর্গা এ সব ডামাডোলে পড়ে কী ভাবছেন? তাঁর কি চক্ষু চড়কগাছ? নাকি অন্য প্ল্যান ভাঁজছেন মনে? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম। সঙ্গে ফচকে অসুর ফ্রি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE