বিরাট কোহলি
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ফেসবুক ভক্তসংখ্যা দু’কোটির বেশি। টুইটারে এক কোটি ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে বেশির ভাগই যে মহিলা, সেটা বুঝতে আইনস্টাইন না হলেও চলে। ট্রেনিং সেরে মাঠ ছাড়ছেন, জনৈক টিনএজার ‘আই লাভ ইউ কোহলি’ পোস্টার নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে। ব্যাট হাতে নামছেন, গ্যালারিতে অবধারিত ‘ম্যারি মি বিরাট’ পোস্টার।
বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পরে যখন অনুষ্কা টার্গেট হয়েছেন, বিরাট নীরব উত্তর দিয়েছেন বান্ধবীর হাত ধরে দেশে ফিরে। পরে যখন মুখ খুলেছেন, অ্যান্টি-অনুষ্কা ব্রিগেড পরপর মিসাইলে বিধ্বস্ত হয়েছে।
সহজাত আগ্রাসনের সঙ্গে দায়বদ্ধ প্রেমিকের স্নিগ্ধতা। লোভনীয় কম্বিনেশন। এমনি এমনিই কি বিরাট তাঁর প্রজন্মের ‘দ্য ম্যান’?
রাহুল দ্রাবিড়
বাইশ গজ ছেড়েছেন অনেক দিন হল। কিন্তু রাহুল ‘দ্য ওয়াল’ দ্রাবিড়ের ফ্যান বেস একটুও কমেনি।
পায়ের নখ থেকে সযত্নে আঁচড়ানো মাথার চুল পর্যন্ত ‘জেন্টলম্যান’ টি-টোয়েন্টি প্রজন্মে বিরল বললেও কম বলা হয়। আর সেখানেই রাহুল দ্রাবিড়ের আবেদন।
ধারাভাষ্যকারের মাইক হাতে তিনি প্রগলভ নন, বরং নিজস্ব ঠাট্টার ভঙ্গিতে স্বতন্ত্র। রাজস্থান টিমের মেন্টর হিসেবে আবার দেখা দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তার অবতারে। অজানা, অচেনা প্লেয়ার খুঁজে তৈরি করেছেন ট্রফির স্বপ্ন দেখানো একটা টিম।
‘সেক্সি’ বলতে শুধু ফ্ল্যামবয়েন্সি বোঝেন যাঁরা, রাহুল দ্রাবিড় তাঁদের জন্য নন। কিন্তু চিন্তাশীল মননের অধিকারিণীরা মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে অগ্রাহ্য করবেন কী ভাবে?
মিচেল জনসন
এ বারের বিশ্বকাপজয়ী অষ্ট্রেলিয়া দলের সম্ভবত সবচেয়ে সুদর্শন সদস্য। মাসখানেক আগের হ্যান্ডলবার গোঁফ অনেকটা ছেঁটে ফেলেছেন। তাতে বাইকার গ্যাং অ্যাপিল কিছুটা কমলেও মিচেল জনসন এখনও সমান সেক্সি।
খোদাই করা চেহারায় ভাস্কর্যের সৌন্দর্য, সঙ্গে পেসার সুলভ হিংস্রতা। তাঁর মুখ বেশি ধারালো না বল, তা নিয়ে তর্ক হতেই পারে। যে সব মহিলার একটু বিপজ্জনক পুরুষ পছন্দ, তাঁদের কাছে মিচ ‘ইররেসিসটেবল’। বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর ‘প্রেমকাহিনি’ই প্রমাণ যে জনসন কতটা আক্রমণাত্মক। সম্মুখসমরের ব্যাপারস্যাপার না থাকলে তাঁর ভাল লাগে না। মিচের সঙ্গে কাটানো একটা মুহূর্তও বোরিং হবে না।
প্যাট কামিন্স
গাঢ় বাদামি চুলের ঢেউ থেকে পেটানো শরীর, মায়াবী চোখ থেকে টুথপেস্ট এনডোর্সমেন্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকা দাঁত, শিশুসুলভ হাসিতে দুষ্টুমির ঝিলিক— স্বপ্নপুরুষের সেরা যা কিছু, সব দিয়েই যেন ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন অস্ট্রেলীয় যুবককে।
তিনি, প্যাট কামিন্স, তর্কাতীত ভাবেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের সবচেয়ে সুদর্শন নাইট। প্রচারের আলোয় এখনও খুব একটা আসেননি কামিন্স। কিন্তু কেকেআর ওয়েবসাইটে বা ইন্টারনেটে তাঁর ছবি ঘেঁটে দেখুন, ভাল না লেগে পারবে না। কামিন্স যখন বল করেন, মাঝেমধ্যে একগোছা চুল কপালে পড়ে থাকে। সুপারম্যানের পুরনো সিনেমাগুলোর ক্রিস্টোফার রিভের মতো। অবশ্য তাঁর চেহারার সঙ্গে বেশি মিল এখনকার সুপারম্যান হেনরি কাভিলের। এক কায়ায় দুই সুপারম্যানের ছায়া — প্যাট কামিন্স একেবারে সুপার ডুপার ম্যান!
স্টিভ স্মিথ
গায়ের রং গোলাপি, গালে লাল আপেলের আভা। বিরাটের মতো স্টিভও তাঁর দেশের ক্রিকেট-আকাশে আছড়ে পড়েছেন উল্কাবেগে।
বিরাটের আবেদন যেখানে তাঁর আগ্রাসন, স্টিভ স্মিথের মধ্যে সেখানে এখনও ‘ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস’ জাতীয় একটা ব্যাপার আছে। মাঠে তাঁর ছটফটানি দেখলে মনে হবে এখনও বোধহয় কলেজের ছাত্র। সেঞ্চুরি করে বাচ্চাদের মতো হাত-পা ছোড়েন, ম্যাচ জিতলে উৎসাহ দেখে কে! স্টিভের নামের পাশে মানানসই বিশেষণ হতে পারে ‘সুইট’। কিন্তু তাতে তাঁর আবেদন একটুও কমবে না। যাঁদের পছন্দ রম-কম, যাঁরা রোম্যান্স বলতেই বোঝেন ক্যান্ডি ফ্লস রূপকথা, তাঁদের পছন্দের হিরো হতেই পারেন স্টিভ স্মিথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy