সকলেই ‘বেলা চাও’-এর সুরে ‘জলদি আও’ বলে হাঁক পাড়ছেন।
আসছে ‘প্রফেসর’। আসছে তার সেই চশমা তোলার বিখ্যাত ভঙ্গি। আসছে নাইরোবির স্মৃতি। আসছে টোকিয়ো, রিও, অসলো, ডেনভার, হেলসিঙ্কি, বার্লিন, লিসবন। আসছে ‘মানি হেইস্ট’। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল তাদের! আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ফের আসবে তারা। এ বার কেবল স্পেনীয় ভাষায় নয়, তারা কথা বলবে হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু-তেও।
রবিবার নেটফ্লিক্সের তরফে নতুন ভিডিয়ো প্রকাশ পেল। বলা যেতে পারে, পঞ্চম সিজনের আগমনী গান গাওয়া হল সেখানে। প্রচারমূলক সেই ভিডিয়োয় চমকের শেষ নেই। ভিডিয়ো শ্যুট করা হয়েছে কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে। সেখানে কলকাতার অভিনেত্রী খেয়া চক্রবর্তী থেকে শুরু বলিউডের তারকা অনিল কপূর, বিক্রান্ত মাসে, রাধিকা আপ্তে— কে নেই! সকলেই ‘বেলা চাও’-এর সুরে ‘জলদি আও’ বলে হাঁক পাড়ছেন। তারকা থেকে জনসাধারণ, দেশের প্রতিটি কোনা থেকে ‘জলদি আও’-এর গান শোনা গেল। কেবল হিন্দি নয়, ভারতের বৈচিত্রের সঙ্গে মানানসই ভিডিয়ো বানাতে একাধিক ভাষার ব্যবহার করেছেন এর নির্মাতারা।
এই সিরিজে়র স্পেনীয় নাম ‘লা কাসা দে পাপেল’। যার অর্থ ‘দ্য হাউস অব পেপার’। তাসের ঘরের মতোই গড়ে-ভাঙে প্রফেসর এবং তাঁর এই দল। ডাকাতি নিয়ে মোট চারটি সিজন তৈরি হয়েছে। কিন্তু টাকা এখানে গৌণ ভূমিকা পালন করেছে। মুখ্য ভূমিকায় ছিল এই চরিত্ররা, যারা ক্রমাগত চোর-পুলিশের খেলায় রত, একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে মত্ত, ভালবাসায় দিশেহারা। সেই চরিত্রগুলি ভারতের এখন বিভিন্ন প্রদেশে! কখনও কলকাতার ট্রামের ভিতরে, কখনও বা মহারাষ্ট্রে, কখনও বা দক্ষিণ ভারতে।
স্পেনীয় ওয়েব সিরিজ নিয়ে যে এতটা মাতামাতি হবে সারা বিশ্বে, তার আঁচ ছিল না নির্মাতাদের। নেটফ্লিক্সে প্রথম সিজন মুক্তি পাওয়ার পরই ছোঁয়াচে রোগের মতো এই সিরিজের খবর ছড়িয়ে যায় চারদিকে। তার পর? তার পরের ঘটনা তো সবাই জানে। ইটালির কৃষকদের প্রতিবাদী গান এই সিরিজের পরেই এত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সেই সুরেই গলা মেলালেন দেশীয়রা। কেবল ভাষা গেল বদলে। সকলেরই অপেক্ষা ৩ সেপ্টেম্বরের জন্য। নেটফ্লিক্সে ‘মানি হেইস্ট’-এর পঞ্চম সিজন মুক্তি পাবে সে দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy