নেটমাধ্যমে #জাস্টিস ফর মোহর নাম দিয়ে একটি আলাদা পাতা খুলে ফেলেছেন অনুরাগীরা।
‘মোহর’-এর সম্প্রচারণের সময় পালটে গিয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে রাত ৮টার বদলে দুপুর ২টোয় দেখা যাচ্ছে মেগা। যতই ‘টাটকা দুপুরে টাটকা মোড়’ ট্যাগলাইন দেওয়া হোক, ‘মোহর’ অনুরাগীরা ভোলেননি। বদলে নেটমাধ্যমে #জাস্টিস ফর মোহর নাম দিয়ে একটি আলাদা পাতা খুলে ফেলেছেন। যেখানে ধারাবাহিকের সমর্থনে সবাই নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘বরণ’কে। সেখানেই কিছুক্ষণ আগে শেয়ার হয়েছে একটি বিজ্ঞাপনী পোস্টার। তাকে ঘিরে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু।
কী আছে পোস্টারে? শেয়ার হওয়া পোস্ট বলছে, রাস্তা জুড়ে নতুন ধারাবাহিকের হোর্ডিং। তাতে ‘মোহর’-এর উপর ‘বরণ’-এর ছবি। যা দেখে মোহর অনুরাগীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এই বিজ্ঞাপনের মানে কি? বরণ কি মোহরের উপর ভর করে নিজের স্থান করে নেওয়ার চেষ্টা করছে?’’ তার পরেই ক্ষোভ, এক সময়ের ‘বাংলার সেরা’- কে এ ভাবে অসম্মান করার কোনও অর্থই কেউ খুঁজে পাচ্ছেন না। এখানেই শেষ নয়। প্রত্যেকের দাবি, যতদিন ‘মোহর’ থাকবে, নিজের যোগ্যতায় থাকবে। মোহর-শঙ্খের যোগ্যতাকে ব্যবহার করা অত্যন্ত কুরুচিকর।
দর্শক, অনুরাগীদের এই ক্ষোভ অপরিচিত নয়। যে ধারাবাহিক বাস্তবসম্মত, ঘরের ছবি যত নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলে সেই ধারাবাহিক তত জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক উদাহরণ, ‘খড়কুটো’, ‘মোহর’। এর আগে ছিল ‘শ্রীময়ী’। লকডাউনের সময় শুরু হওয়া ‘খড়কুটো’ হারিয়ে যাওয়া যৌথ পরিবারের এক টুকরো প্রতিচ্ছবি। ‘শ্রীময়ী’ সাধারণ মেয়ের অ-সাধারণ লড়াইয়ের গল্প শুনিয়েছে। ‘মোহর’ দেখাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস্তব সমস্যা। গল্প থেকে জুটি, সব দিক থেকেই এই ৩ ধারাবাহিক দর্শক টেনেছে। মোহর-শঙ্খ, সৌজন্য-গুনগুন কিংবা রোহিত-শ্রীময়ী পর্দা থেকে বেরিয়ে এসে সবার কাছেই জীবন্ত! পান থেকে চুন খসলেই তাই ক্ষোভে, অভিমানে ফেটে পড়ছেন নেটাগরিকেরা।
কিছু দিন আগেই ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার সময়ও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। সেই সময় দর্শকেরা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো ‘আত্মহত্যা’ হুমকি দিয়েছিলেন! এ রকম একাধিক পোস্টে উত্তাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। বহু ধারাবাহিক ছোট পর্দায় দেখানো হয়। কয়েকটিকে ঘিরে কেন এত উন্মাদনা? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মনস্তাত্ত্বিক অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। জবাবে আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি জানিয়েছিলেন, এখনকার প্রায় প্রতিটি মানুষ কোনও কিছুর অভাব মেনে নিতে রাজি নন। সব কিছুতেই ‘হ্যাঁ’ শুনতে চান তাঁরা। আর সেটা ‘না’ বা ‘নেই’ হলেই এ ভাবে ফুঁসে ওঠেন।
তবে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী #জাস্টিস ফর মোহর পেজ। তাই প্রতিবাদীদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ, ‘সবাই ভাষার ভদ্রতা ধরে রেখে প্রতিবাদ বা মন্তব্য করবেন’। এই সংহত প্রতিবাদী রূপ সত্যিই প্রশংসা-যোগ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy