প্রেমে আছেন, ফ্রেমেও সোহম চক্রবর্তী, তনয়া পাল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিয়ের ১২ বছরের জন্মদিন। সমাজমাধ্যমে বৌকে জড়িয়ে হাসিমুখে জ্বলজ্বল করছেন সোহম চক্রবর্তী। তনয়া পালকে ‘জান’ সম্বোধনে বিবরণীতে মিষ্টি বার্তা, “১২ বছর ধরে আমার পাশে তুমি। ভালয়-মন্দয় কখনও হাত ছাড়োনি। আর হাত ছাড়োনি বলেই আমি এখনও এগিয়ে যেতে পারছি। শেষ দিন পর্যন্ত এ ভাবেই পাশে থেকো।” এই প্রজন্ম সম্পর্ক গড়তেই ভয় পায়। বিয়ে তো দূরের কথা। সেখানে হাসতে হাসতে এক ছাদের নীচে ১২ বছর!
কী করে সম্ভব হল? কোনও দিন রাগারাগি হয়নি? রাগ করে বৌ বাবার কাছে চলে যায়নি?
সোহমকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা প্রথমে সংশোধন করে দিয়েছেন, “প্রেমজীবন ছয় বছরের। বিয়ের বয়স ১২। সব মিলিয়ে ১৮ বছর এক সঙ্গে। আমাদের সম্পর্ক সাবালক!” তার পর হাসতে হাসতে জানিয়েছেন মনের কথা। বলেছেন, “স-ব আছে। রাগ, মান-অভিমান-খুনসুটি। এ গুলো আছে বলেই তো দাম্পত্য টিকে গেল।” পাশাপাশি অনুযোগ, প্রেমজীবনকে একটু হলেও মিস্ করছেন। কারণ, তখন মন খুলে অনেক কথা বলা যেত। বিয়ের পর থেকে অনেক সাবধানে কথা বলতে হচ্ছে তাঁকে।
এও জানিয়েছেন, যতই খিটিমিটি বাধুক, তনয়া সোহমকে ছেড়ে চট করে বাবার কাছে থাকেন না। এমনিতেই নায়কের ঘরনি মানে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা। বিপজ্জনক শুটিং তো আছেই। পাশাপাশি, গুঞ্জন অগুন্তি। সেই কারণেই কি বৌ এখনও চোখে হারাচ্ছেন? প্রশ্ন শুনে ফোনের ও পারে দরাজ হাসি। অভিনেতার কথায়, “এটা তো ভেবে দেখিনি!” হাসি থামলে তাঁর বক্তব্য, “মনে হয় আমায় ছেড়ে থাকতে পারে না। এটাও একটা কারণ।” বিয়ের দিন সকাল তনয়াকে নিয়ে সোহম সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন কালীঘাটে। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে। সন্ধ্যায় থাকবেন লেক কালীবাড়িতে। ভোগ খাবেন, ভোগ বিতরণও করবেন। আর? দুপুরে একান্তে খাওয়াদাওয়া সারবেন কোনও হোটেলে। মেনুতে কী? “আজ শনিবার, নিরামিষ। ফলে, ওই ধরনের যা যা ভাল খাবার হয় খাব।”
এই প্রজন্মকে বিয়েতে আস্থা ফেরাতে কোনও পরামর্শ? সোহমের মতে, “আগের দিনের মতো প্রেমে আন্তরিকতা থাকুক। থাকুক ভরসা, বিশ্বাস। প্রেম, বিয়ে সব টিকে যাবে।” তার পরেই ছোট্ট দুষ্টুমি, “ভরসা, বিশ্বাস করে বলেই হাসিমুখে ১২ বছর ধরে ‘নায়ক’-এর ঘর করতে পারল তনয়া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy