‘প্রজাপতি’র সাকসেস পার্টিতে দেব ও মিঠুনের সঙ্গে প্রসেনজিৎ। নিজস্ব চিত্র।
ছবির প্রচার থেকে শুরু করে প্রিমিয়ারে তাঁকে দেখা যায়নি। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় ছবির সাকসেস পার্টি শুরু হল যেন তাঁর অপেক্ষাতেই। এসে বলেই দিলেন, ‘‘আমরা খুব ফ্লপ একটা ছবির পার্টিতে হাজির হয়েছি!’’ এমনই তাঁর রসবোধ। আর হবে না-ই বা কেন। তিনি যে মিঠুন চক্রবর্তী।
দেব-মিঠুন জুটির ‘প্রজাপতি’ ব্লকবাস্টার। এ দিকে নন্দনে ছবিটি জায়গা পায়নি। প্রশ্ন উঠেছিল, মিঠুন বিজেপি নেতা বলেই কি নন্দন থেকে বাদ গিয়েছিল ‘প্রজাপতি’? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মিঠুনকে কটাক্ষ করেছিলেন। এই নিয়ে বিতর্কের কথা উঠতেই মিঠুন বললেন, ‘‘ওরা দেবকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ও ভয় পায়নি। আমার কাছে বাংলার সব প্রেক্ষাগৃহ নন্দন। বাংলার মানুষ ছবিকে ভালবেসে জিতিয়ে দিয়েছেন।’’ নন্দন সরকারি প্রেক্ষাগৃহ। ‘প্রজাপতি’র এই বঞ্চনাকে মিঠুন কিন্তু ‘অশনি সঙ্কেত’ হিসেবেই দেখছেন। এই প্রসঙ্গেই মিঠুনের সংযুক্তি, ‘‘আগে জানতে চাই নন্দনের কমিটিতে কাদের নাম রয়েছে। তার পর আমি এই নিয়ে কোনও কথা বলব।’’
বাবা-ছেলের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি জাতীয় স্তরেও প্রশংসিত। প্রতিক্রিয়ার বন্যায় ভেসেছেন মিঠুন। সে কথা প্রসঙ্গেই জানালেন পরিচালক মহেশ ভট্টর কথা। মিঠুন বলেন, ‘‘ছবি দেখে ভট্ট সাহেবের ফোন এসেছিল। বললেন, আমি নাকি দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা। শুনে খুব লজ্জা পেয়েছিলাম।’’ পিছিয়ে নেই পরিবার। মিঠুনের ছেলে মিমোর ছবিটা পছন্দ হয়েছে। এমনকি, স্ত্রী যোগিতা বালিও ‘প্রজাপতি’ দেখেছেন। মিঠুনের কথায়,‘‘ছবিটা দেখতে দেখতে খুব কেঁদেছে। আর শেষে আমাকে বলেছে, ‘তুমি যে আমার স্বামী, সেটা ভাবতেই গর্ববোধ করি।’’’
দেবের সঙ্গে কি নতুন ছবির কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? মিঠুনের জবাব, ‘‘কিছু জানি না। আমার টিআরপি এখনও খুব বেশি। চাইলে সারা বছর কাজ করতে পারি। কিন্তু যতক্ষণ চিত্রনাট্য আমাকে নাড়া না দিচ্ছে, আমি রাজি হই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy