Meet Rowan Atkinson, the famous comedian and know how he is now dgtl
Entertainment news
কমেডিয়ান, একাধিক প্রেম, অর্ধবয়সী স্ত্রী, ৬২ বছরে বাবা, অ্যাটকিনসনের জীবন তাঁর চরিত্রের মতোই রঙিন
জানেন কি শুধুই কি কমেডিয়ান ছিলেন তিনি? তাঁর আরও অনেক গুণ ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
রোয়ান সেবাস্তিয়ান অ্যাটকিনসন। দুনিয়া তাঁকে মিস্টার বিন নামেই চেনে। অদ্ভুত এবং একাধারে অসাধারণ মুখের ভাবভঙ্গি তাঁকে ভুলতে দেয় না। দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মিস্টার বিন। কিন্তু জানেন কি শুধুই কি কমেডিয়ান ছিলেন তিনি? তাঁর আরও অনেক গুণ ছিল।
০২১২
১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডে জন্ম অ্যাটকিনসনের। চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন তিনি। পড়াশোনাতে খুব মেধাবী ছিলেন। নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং করেন। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। এরপর ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ।তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে।
০৩১২
এহেন মেধাবী ছাত্রের কমেডিতে আসা নেহাতই গল্পের মতো। মন দিয়ে তাঁর রিসার্চ পেপারের কাজ করছিলেন তিনি। কখনও ভাবেননি যে ইঞ্জিনিয়ার থেকে শেষমেশ কমেডিয়ান হয়ে উঠবেন।
০৪১২
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের একটি কমেডি দল ছিল। একবার অ্যাটকিনসনকে তাঁরা একটি শো-এর জন্য বেছে নিয়েছিল। অ্যাটকিনসনের কাজ ছিল সেই শো-এর জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা আর কমেডি ছবি আঁকা। একটা লাইনও লেখেননি অ্যাটকিনসন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখটাকেই বিকৃত করে স্কেচ বানিয়েছিলেন। সেটাই পরে মিস্টার বিন হয়ে যায়।
০৫১২
এরকম আরও ঘটনা ঘটেছে তাঁর জীবনে। না জেনেই যেমন নিজের বিকৃত মুখের ছবি এঁকেই তিনি মিস্টার বিন হয়ে গিয়েছিলেন, তেমন না জেনেই পরিস্থিতির শিকার হয়ে একবার রিয়েল লাইফ পাইলটের ভূমিকাও পালন করতে হয়েছিল তাঁকে।
০৬১২
সেটা ছিল ২০০১ সাল। ব্যক্তিগত বিমানে কেনিয়ায় ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ আকাশেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পাইলট। বাধ্য হয়ে অ্যাটকিনসনকেই পাইলটের আসনে বসতে হয়। যতক্ষণ না পাইলটের জ্ঞান ফেরে মাঝ আকাশে বিমান চালিয়েছিলেন তিনিই।
০৭১২
অ্যাটকিনসেনর ভারতীয় যোগও রয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী সুনেত্রা শাস্ত্রীর বাবা ভারতীয়। মা ব্রিটিশ। সুনেত্রা ভীষণ সুন্দরী একজন মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে বিবিসি-র একটি সেটে অ্যাটকিনসনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়।
০৮১২
সুনেত্রাকে দেখেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন অ্যাটকিনসন। সুনেত্রা ছিলেন তাঁর সহঅভিনেতার মেকআপের দায়িত্বে। জানা যায়, সুনেত্রার সঙ্গে কথা বলার জন্য অ্যাটকিনসন তাঁর সহ অভিনেতাকে রাজি করিয়ে অন্য মেকআপ আর্টিস্ট-এর কাছে পাঠিয়েছিলেন আর নিজে সুনেত্রার তত্ত্বাবধানে।
০৯১২
দুজনে ডেট করতে শুরু করেন। তিন বছর পর বিয়ে। সুনেত্রা ও অ্যাটকিনসনের দুই সন্তান, এক ছেলে এক মেয়ে। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু বিয়ের ২০ বছর পর থেকে দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরতে থাকে।
১০১২
সুনেত্রার বারবারই মনে হত, তাঁর স্বামী তাঁর কাছ থেকে কিছু লুকোচ্ছেন, তাঁকে ঠকাচ্ছেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। তখন ৩১ বছরের কমেডি অভিনেত্রী লুইস ফোর্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে অ্যাটকিনসনের। অ্যাটকিনসনের বয়স তখন ৬০ বছর।
১১১২
তা প্রকাশ্যে আসার পর স্ত্রী সুনেত্রা বিয়ের ২৫ বছর পর ২০১৪ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন। ২০১৫ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। অ্যাটকিনসনের মেয়ে লিলি বাবার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেননি। এমনকি নিজের পদবীও শাস্ত্রী রেখেছেন তিনি।
১২১২
এর দু’বছর পর ৬২ বছর বয়সে ফের বাবা হন অ্যাটকিনসন। লুইস ফোর্ডের বয়স তখন ৩৩ বছর মাত্র।