Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Celeb Life

হাতের পেশি স্থানচ্যুত, রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আপত্তি! কেরলে অস্ত্রোপচার করালেন মনোজ

মনোজের কথায়, হাসপাতালে সুচিকিৎসক আছেন। কিন্তু এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে ভরসা করা যায় না। আবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার প্রচুর খরচ। যা সাধারণের নাগালের বাইরে।

Image Of Manoj Murali Nair

মনোজ মুরলী নায়ার। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ২০:২৪
Share: Save:

বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে ভরসা রাখতে পারলেন না রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মনোজ মুরলী নায়ার। আর তাই বাংলায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরেও সঠিক চিকিৎসা পেতে তাঁকে ছুটতে হল দক্ষিণ ভারতে। সেখানেই সম্প্রতি বাঁ হাতে অস্ত্রোপচার হল তাঁর। সদ্য তাঁর অস্ত্রোপচার নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছেন গায়ক। সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। কেরল থেকে ফোনে কথা বললেন গায়ক। জানালেন, অনেক দিন ধরেই ব্যথায় ভুগছিলেন। প্রথমে ততটা পরোয়া করেননি। ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকের কাছে যান। তখনই জানতে পারেন, তাঁর বাইসেপ স্থানচ্যুত। তারই চিকিৎসা করাতে দক্ষিণ ভারতে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

তিনি আজীবন বাংলাতেই কাটিয়েছেন। তাঁর জীবন জুড়ে রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত। তার পরেও কেন তাঁকে চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যেতে হল? প্রশ্নের উত্তরে গায়ক অকপটে বললেন, “বাংলা আমার সব। এখানকার চিকিৎসকদেরও তুলনা নেই। কিন্তু চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য আছে।”

তিনি জানালেন, হাসপাতালে সুচিকিৎসক আছেন। কিন্তু এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে ভরসা করা যায় না। আবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার প্রচুর খরচ। যা সাধারণের নাগালের বাইরে। তাঁর বক্তব্য, “চিকিৎসা সংক্রান্ত বিমায় যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা আছে তার থেকেও বেশি ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। তাই দক্ষিণ ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরেই ভরসা করতে হল। সেখানে সুচিকিৎসক এবং সুলভ চিকিৎসা দুটোই মেলে।”

কেরলে মনোজের ভাই থাকেন। তিনিই তাঁর দেখভাল করছেন। মাইক্রো সার্জারি করে চিকিৎসকেরা তাঁর পেশি আবার যথাস্থানে স্থাপন করেছেন। ওষুধের সঙ্গে তাঁকে হাতের নানা ব্যায়াম দেওয়া হয়েছে। এক মাস পরে ফের গায়ককে দেখবেন চিকিৎসক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE