শুরু থেকেই ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাস এবং ‘মাম্পি’ ওরফে রুকমাকে নিয়ে দর্শকমনে অঘোষিত দ্বন্দ্ব ছিল।
ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র পরে নেটাগরিকদের রোষে ‘দেশের মাটি’। বৌদিভাইয়ের সদ্যোজাতকে নিজের কাছে সারাক্ষণ আটকে রাখছে গুনগুন। এই অপরিণামদর্শিতার কারণে আপাতত সে দর্শকদের ‘চোখের বালি’। পাশাপাশি, গুনগুনকে সমর্থন করায় দর্শকদের বিরক্তির কারণ পটকাও। সেই জট খোলার আগেই নয়া জট ‘দেশের মাটি’কে নিয়ে। নেপথ্যে ধারাবাহিকের অন্যতম প্রধান দুই চরিত্র নোয়া আর মাম্পি। যার জেরে ধারাবাহিক বাতিলের ডাক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে নেটমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ঘটনার মধ্যস্থতায় খুব শিগগির ফেসবুক পেজ থেকে অনুরাগীদের মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজা-মাম্পি ওরফে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুকমা রায়। নেটমাধ্যমে এমনটাই ঘোষণা করেছেন স্বয়ং রাহুল।
শুরু থেকেই ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাস এবং ‘মাম্পি’ ওরফে রুকমাকে নিয়ে দর্শকমনে অঘোষিত দ্বন্দ্ব ছিল। শ্রুতির গায়ের রং এই রেষারেষির প্রধান কারণ! গল্পে তাই নোয়া প্রাধান্য পেলেই সবাই তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়তেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই ফের খড়্গহস্ত সবাই। কী থেকে বিরোধের সূত্রপাত? দিন কয়েক আগের সম্প্রচার বলছে, একই দিনে স্বরূপ নগরের একটি কলেজে চাকরি পায় মাম্পি। অন্য দিকে, স্থানীয় গুণ্ডা শিবু দাসকে নিজের হাতে শাস্তি দেওয়ার অপরাধে স্কুলের চাকরি হারায় নোয়া। সূক্ষ্ম বিরোধ সেখান থেকেই। এর পরেই মাম্পি নোয়াকে বলে, যত দিন না অন্য চাকরি পাচ্ছে তত দিন সে ঘরের কাজ করতে পারে। এতে বাড়ির বয়স্ক পরিচারক সবুজদার পরিশ্রম কিছুটা হলেও কম হবে। এই অপমান নোয়া হজম করলেও এমন কথা মেনে নিতে অসুবিধা হয় নোয়ার স্বামী কিয়ানের। একই সঙ্গে মাম্পির স্বামী রাজাও সংশোধনের চেষ্টা করে তার স্ত্রীকে। কিন্তু ততক্ষণে বিরোধ যা বাধার বেধে গিয়েছে। তারই প্রভাব পর্দা ছাপিয়ে দর্শকমহল হয়ে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যেই ‘দেশের মাটি’-র ফ্যানপেজ থেকে লাগাতার বাঁকা মন্তব্য শুরু হয়ে গিয়েছে। নোয়ার নাম না নিয়ে এমনও মন্তব্য করা হয়েছে, ‘মাম্পিকে দিয়ে এমন কিছু বলানো হচ্ছে, সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি এমন ভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে যে তার থেকে বোঝাই যায়, শুধুমাত্র একজনের প্রতি করুণা দেখাতে গিয়েই জোর করে মাম্পিকে দর্শকের চোখে ছোট করতে চাইছেন লেখিকা।’ আরও এক নেটাগরিকের মতে, ‘ধারাবাহিক দেখতে দেখতে দর্শকেরা কোনও কোনও চরিত্রকে খুব ভালবেসে ফেলেন। মাম্পিও সে রকম। ওকে দিনের পর দিন জোর করে খারাপ করে অন্য কাউকে মহান দেখাবেন, এটা সহ্য করা আর সম্ভব নয়।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy