গোটা সিরিজ ধরে শুধু চরিত্রেরা চরিত্রদের সঙ্গে মাফিয়া খেলেন না, পরিচালক যেন সেই খেলায় যোগ করে নেন দর্শকদেরও। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
প্লট জটিল করার দৌড়ে মনে থাকবে অনিন্দিতার অভিনয়। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
এ সব হলে দোষ নেই। সত্যিই সবটা নতুন নয়। এই থ্রিলার-থ্রিলার খেলার মাঝে অনেক কিছুই যেন বারবার দেখতে হচ্ছে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। তবে সে সব মনে পড়ার শেষে একটা প্রাপ্তিযোগ রয়েছে। আট এপিসোডের মাফিয়া সম্পর্কে এটুকু বলাই চলে। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত এটুকু নিশ্চিত করেছেন যে, তাঁর দর্শককে শুধু পেন্সিল হাতে বসে থাকতে হবে না কয়েক ঘণ্টার শেষে।
এ দিক-সে দিকের ক্রাইম সিরিজ, গোয়েন্দা গল্পের দ্বারা অনুপ্রেরণার পরেও তো নিজস্ব কিছু দিতে হয় দর্শককে। তা না দিতে পারলে তবে হয় মুশকিল। কিলো দরে তৈরি হওয়া থ্রিলার সিরিজের ভিড়ে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারা সে দিক থেকে বেশ কঠিন। কিন্তু এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, বেশ অনেক দিনের মধ্যে ‘শবর’ ছাড়া এত কড়া থ্রিলার পশ্চিমবঙ্গে অন্তত বানানো হয়েছে বলে মনে পড়বে না অধিকাংশ দর্শকের।
তবে থ্রিলার টান টান হবে, এমনটাও দাবি থাকে। একটা ফ্রেম থেকে পরেরটিতে যাওয়ার মধ্যে কোনও ফাঁক থাকলে ছটফট করবেন দর্শক। একটি খেলা ঘিরে তৈরি হতে থাকা জটিলতায় যেন সেই টান টান ভাবটা মাঝেমধ্যেই আলগা হয়ে যায়। আসলে কিছু গল্পের চলন এপিসোডে ভাগ করা যায় না। ‘মাফিয়া’ও যেন খানিকটা তেমনই। কোথাও কোথাও সে কারণেই অহেতুক লম্বা হয়ে যায় এক-একটি মুহূর্ত। ঘণ্টা আড়াইয়ের একটি ছবি হলে হয়তো এড়ানো যেত সেই বিভ্রাট।
জঙ্গলের মধ্যে সাজানো বাংলো। তাতে ভয় ভয় আবহ। প্রথম থেকেই যেন সন্দেহ তৈরি করে গোটা কাজটির উপরে। আর হবে না-ই বা কেন? ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
আরও পড়ুন: অভিষেকের লাভস্টোরিতে অ্যাথলিট আয়ুষ্মান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy